মহাকাশে নভোচারীদের প্রথম মৃত্যু হয়েছে কবে, কীভাবে
Published: 8th, October 2025 GMT
মহাকাশ অভিযান মানেই নতুন দিগন্তের উন্মোচন। তবে মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগানসহ মহাকাশযানের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের। পৃথিবীকে ছাড়িয়ে যত দূরে যাওয়া যায়, ততই এসব চ্যালেঞ্জ কঠিন হতে থাকে। ১৯৭১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো সয়ুজ ১১ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় দ্রুত ভেতরের চাপ কমে যাওয়ায় অক্সিজেনের অভাবে মারা যান তিন নভোচারী। এটিই মহাকাশে নভোচারীদের প্রথম ও একমাত্র মৃত্যুর ঘটনা। এর পর থেকে মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রেশার স্যুট পরতে হয়।
১৯৭১ সালের ৬ জুন উৎক্ষেপণ করা হয় সয়ুজ ১১ মহাকাশযান। এরপর নির্ধারিত কাজ শেষে ৩০ জুন তিনজন সোভিয়েত নভোচারী—জর্জি ডব্রোভলস্কি, ভ্লাদিস্লাভ ভলকভ ও ভিক্টর পাতসায়েভকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছিল নভোযানটি। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬৮ কিলোমিটার ওপরে থাকা অবস্থায় মহাকাশযানটির মডিউল বিচ্ছিন্নের সময় ডিসেন্ট ক্যাপসুল থেকে অরবিটাল মডিউলকে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়। তবে সে সময় চাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি ভালভ অপ্রত্যাশিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই খুলে যায়। এর ফলে মহাকাশযানের ভেতরের বাতাস সরাসরি মহাকাশের শূন্যতায় বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নভোচারীদের অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ভালভটি ম্যানুয়ালি বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন নভোচারীরা। প্রেশার স্যুট না থাকায় নভোচারীরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চেতনা হারিয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন তাঁরা।
সয়ুজ ১১ মহাকাশযানটি যখন কাজাখস্তানে অবতরণ করে, তখন উদ্ধারকারী দল তিন নভোচারীকেই অচেতন অবস্থায় খুঁজে পায়। সে সময় নভোচারীদের ত্বকে নীলচে ভাব, কান থেকে রক্তপাতসহ চাপজনিত বিভিন্ন প্রভাব ছিল। সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ প্রথমে নভোচারীদের মৃত্যুর তথ্য গোপনের মাধ্যমে মিশনের সাফল্য প্রচার করে। পরে তিন নভোচারীকে ক্রেমলিন ওয়ালের নেক্রোপলিসে সমাহিত করা হয়।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাকাশে মারা যাওয়া প্রথম মানুষ হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন নভোচারী জর্জি ডব্রোভলস্কি, ভ্লাদিস্লাভ ভলকভ ও ভিক্টর পাতসায়েভ। মহাকাশে ২৩ দিন থাকার সময় দীর্ঘ মেয়াদে মহাকাশজীবনের ওপর যুগান্তকারী সব গবেষণা করেন তাঁরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে নভোচারীদের প্রথম মৃত্যু হয়েছে কবে, কীভাবে
মহাকাশ অভিযান মানেই নতুন দিগন্তের উন্মোচন। তবে মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগানসহ মহাকাশযানের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের। পৃথিবীকে ছাড়িয়ে যত দূরে যাওয়া যায়, ততই এসব চ্যালেঞ্জ কঠিন হতে থাকে। ১৯৭১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো সয়ুজ ১১ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় দ্রুত ভেতরের চাপ কমে যাওয়ায় অক্সিজেনের অভাবে মারা যান তিন নভোচারী। এটিই মহাকাশে নভোচারীদের প্রথম ও একমাত্র মৃত্যুর ঘটনা। এর পর থেকে মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রেশার স্যুট পরতে হয়।
১৯৭১ সালের ৬ জুন উৎক্ষেপণ করা হয় সয়ুজ ১১ মহাকাশযান। এরপর নির্ধারিত কাজ শেষে ৩০ জুন তিনজন সোভিয়েত নভোচারী—জর্জি ডব্রোভলস্কি, ভ্লাদিস্লাভ ভলকভ ও ভিক্টর পাতসায়েভকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছিল নভোযানটি। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬৮ কিলোমিটার ওপরে থাকা অবস্থায় মহাকাশযানটির মডিউল বিচ্ছিন্নের সময় ডিসেন্ট ক্যাপসুল থেকে অরবিটাল মডিউলকে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়। তবে সে সময় চাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি ভালভ অপ্রত্যাশিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই খুলে যায়। এর ফলে মহাকাশযানের ভেতরের বাতাস সরাসরি মহাকাশের শূন্যতায় বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নভোচারীদের অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ভালভটি ম্যানুয়ালি বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন নভোচারীরা। প্রেশার স্যুট না থাকায় নভোচারীরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চেতনা হারিয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন তাঁরা।
সয়ুজ ১১ মহাকাশযানটি যখন কাজাখস্তানে অবতরণ করে, তখন উদ্ধারকারী দল তিন নভোচারীকেই অচেতন অবস্থায় খুঁজে পায়। সে সময় নভোচারীদের ত্বকে নীলচে ভাব, কান থেকে রক্তপাতসহ চাপজনিত বিভিন্ন প্রভাব ছিল। সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ প্রথমে নভোচারীদের মৃত্যুর তথ্য গোপনের মাধ্যমে মিশনের সাফল্য প্রচার করে। পরে তিন নভোচারীকে ক্রেমলিন ওয়ালের নেক্রোপলিসে সমাহিত করা হয়।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাকাশে মারা যাওয়া প্রথম মানুষ হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন নভোচারী জর্জি ডব্রোভলস্কি, ভ্লাদিস্লাভ ভলকভ ও ভিক্টর পাতসায়েভ। মহাকাশে ২৩ দিন থাকার সময় দীর্ঘ মেয়াদে মহাকাশজীবনের ওপর যুগান্তকারী সব গবেষণা করেন তাঁরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া