১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা জসিম। আজ তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশন হিরো—যিনি সিনেমার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও ছিলেন সত্যিকারের যোদ্ধা।
নায়ক জসিম শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রে অ্যাকশন ধারার এক নতুন যুগের সূচনাকারী। তার নামে এফডিসিতে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসীম ফ্লোর’। কারণ, সিনেমার বাইরেও তার পরিচয় এক গর্বের—১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
নিষিদ্ধের গুঞ্জনে মুখ খুললেন রাশমিকা
‘নোংরা কনটেন্ট ছড়িয়ে সমাজকে দূষিত করা আপনার দায়িত্ব নয়’
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। তবে সিনেমায় তার যাত্রা শুরু আরো আগে—একজন ‘এক্সট্রা আর্টিস্ট’ হিসেবে। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সেই সংগ্রামের গল্প। সেই সাধারণ শুরু থেকে তিনি হয়ে ওঠেন ঢালিউডের প্রথম ‘অ্যাকশন হিরো’।
খলনায়ক থেকে নায়ক—দুই ভূমিকাতে জসিম ছিলেন অনন্য। খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন ৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে, আর নায়ক হিসেবে ১২০টিরও বেশি সিনেমায়।
জসিম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘দেবর’, ‘রংবাজ’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘কাজের বেটি রহিমা’, ‘মহেশখালির বাঁকে’, ‘বারুদ’, ‘বদলা’, ‘কসাই’, ‘বাহাদুর’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘দি রেইন’, ‘কুয়াশা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘স্বামী কেন আসামি’ প্রভৃতি।
ব্যক্তিগত জীবনে জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন চিত্রনায়িকা সুচরিতা। পরে বিয়ে করেন নাসরিনকে। তিন ছেলে—এ কে সামি, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুলকে রেখে তিনি বিদায় নেন দুনিয়া থেকে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গত ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জসিমের মেজ ছেলে, সংগীতশিল্পী ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হয়ে চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সালাউদ্দিন (৩১)। আজ দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সালাউদ্দিন নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা৷ গতকাল বুধবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গুর পাশাপাশি তাঁর কিডনি জটিলতাও ছিল। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২৩ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে পুরো বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৮ জন। গড় হিসেবে প্রতিদিন ৩৭ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।