বরিশালের গৌরনদীতে এক কলেজছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- মাসুদ সরদার, নিলয় আহমেদ ও ইমন।

আরো পড়ুন:

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী মামলায় ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর বাড়ি ফিরলে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে বুধবার মামলা করে।

গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিলয় আহমেদ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান আসামি মাসুদ সরদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে ভেসে এল মৃত গন্ডার, হাড়গোড় যাবে জাদুঘরে

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদে একটি মৃত গন্ডার ভেসে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ভারতের কোনো বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এলাকা থেকে ভেসে এসেছে এটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ধস ও বনাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুধকুমার নদ দিয়ে কাঠের গুঁড়ি, মৃত গরু, সাপ, মাছসহ নানা প্রাণী ভেসে আসছে। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুধকুমার নদের স্রোতে গন্ডারটিকে মৃত অবস্থায় প্রথমবার ভাসতে দেখা যায়। পরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামের চরে আটকে পড়ে প্রাণীটির দেহ।

আরও পড়ুন‘পুষ্পা’ সিনেমার মতো কুড়িগ্রামে ভেসে এল কাঠ, ‘লাল চন্দন’ ভেবে কাড়াকাড়ি৬ ঘণ্টা আগে

মঞ্জুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, উজানের ঢলে কালজানি ও দুধকুমার নদে শত শত গাছের গুঁড়ি ও কাঠ ভেসে এসেছে। এর সঙ্গে ওই মৃত গন্ডার ভেসে আসে।

খবর পেয়ে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা (সামাজিক বনায়ন) সাদিকুর রহমান, উপজেলা বন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী ও যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা।

আরও পড়ুনকুড়িগ্রামের কালজানি নদীতে ভেসে আসছে হাজারো গাছের গুঁড়ি০৫ অক্টোবর ২০২৫

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকাল এলাকাবাসী মৃত দেহটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে আমি বন বিভাগকে জানাই। আজ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।’

কুড়িগ্রাম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, গন্ডারটি খুব বড় ও ভারী হওয়ায় সরানো সম্ভব হয়নি। তাই মাটিতে গর্ত করে সেখানেই পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জাদুঘরের লোকজন এর হাড়গোড় সংগ্রহ করবেন।

যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা বলেন, গন্ডারটির দেহ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দুই মাস পর পচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে হাড়গোড় সংগ্রহ করে জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এগুলো শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।

আরও পড়ুনতিস্তার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাটে নিচে০৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ