‘যেভাবে রাস্তা হচ্ছে, মানুষকে কবর দেওয়ার জন্যও জায়গা থাকবে না’
Published: 8th, October 2025 GMT
রাস্তার কারণে মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য কোনো জায়গা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, “সবাই রাস্তা চায়, যার টু লেন আছে তাকে চার লেন করতে হবে। যার ফোর লেন আছে, তাকে সিক্স লেন করতে হবে। রাস্তা করে যানযট সমস্যার সমাধান করা যাবে না। রাস্তা যেভাবে হচ্ছে তাতে বাসাবাড়ির জন্য কোনো জায়গা পাওয়া যাবেনা, শিল্প-কারখানার জন্যও কোনো জায়গা থাকবে না, এমনকি মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্যও কোনো জায়গা থাকবে না।”
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসচাপায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, “রাস্তার ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। রেল ও নৌপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে। শুধু রাস্তা রাস্তা করলে আমরা কিন্তু আগাতে পারব না।”
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের নাজুক অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজটের মূল কারণ ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীসহ ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকায় অফিসে না বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ নির্দেশনা অমান্য করলে বা দায়িত্বে অবহেলা করলে তাদের বরখাস্ত করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্বরোড এলাকায় যানজট নিরসনে একটি উড়াল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থের যোগান দেওয়া হবে এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ডিজাইন প্রণয়নসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকসহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২০১৭ সালে একনেক সভায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০২০ সালে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড তিনটি প্যাকেজের কাজ শুরু করে। তবে করোনা মহামারি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি একাধিকবার পিছিয়ে যায়।
২০২৫ সালের ৩১ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সম্প্রতি মেয়াদ আরো ১ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যয় বেড়েছে ১৬৩ কোটি টাকা।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন প রকল প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফারিয়া কেন ‘নোংরা’ মন্তব্যের শিকার?
কিছু দিন আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। আপাতত স্বামীর সঙ্গে সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ফারিয়া। আনন্দে কাটানো মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করছেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা।
একটি ছবিতে দেখা যায়, রাতের শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে শবনম ফারিয়া। তার চোখে-মুখে আনন্দের ঢেউ। পরনে শর্টস, গায়ে টি-শার্ট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছবিটিতে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ৫৬ হাজার, শেয়ার হয়েছে ২৪৬টি। মন্তব্য পড়েছে ৫ হাজার ৬০০টি। এসব মন্তব্যের অধিকাংশই ‘নোংরা’ ভাষায় করা হয়েছে; যা নিয়ে চলছে আলোচনা।
আরো পড়ুন:
ব্যাচেলর পয়েন্ট: অবশেষে ফিরছেন নেহাল
দিতিপ্রিয়ার অস্ত্রোপচার
কামরুল ইসলাম নামে একজন কাটাক্ষ করে লেখেন, “বুঝতে হবে, হাজী পরিবারের মেয়ে।” আরিফুল ইসলাম লেখেন, “বয়স হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়। নৈতিকতা পরিবর্তন হয়, আদর্শ পরিবর্তন হয়। আপনার তো দেখি সবকিছু তার উল্টা করছেন আপু।” জারা তাবাসসুম লেখেন, “আন্টি তার আসল রূপে ফিরেছেন।” সাফি মাসুক লেখেন, “মসজিদে বিয়ে করে, হানিমুনে গিয়ে হাফ প্যান্ট পরে বিদেশের মাটিতে ঘুরার যে ব্যাপারটা।”
অন্য একজন ফারিয়ার কড়া সমালোচনা করে লেখেন, “আপনারা অভিনেত্রী বলে যা পরেন তাই সাপোর্ট করব, আপনি নিজেই দেখেন কেমন লাগে। আরে আমার ছেলের ৬ বছর, সেও তো এই হ্যাফ প্যান্ট পরতে চায় না, গরমের দিনেও বাসায় পরাতে পারি না, বাসার থেকে নিচে নামলেও জিন্স প্যান্ট, আর যদিও জোর করে বাসায় পরাই তাতে হাঁটুর ওপরে যাতে না ওঠে তাই টানতে টানতে ১ মাসেই ছিড়ে ফেলে। আর আপনি আমগো চাঁদপুর মতলবের মাইয়া অইয়া এইডা কি পরলেন, আল্লাহতায়ালা আপনাকে হিদায়ত দেক।” ফয়সাল আহমেদ পাপ্পু লেখেন, “অসাধারণ। দেশের বাইরে গেলে হাফ প্যান্ট আর দেশে থাকলে সত্যবাদী সাহসী। আর আমরা কিছু লিখলেই খারাপ।”
সাইদুর রহমান লেখেন, “দেশি মাইয়া বিদেশে গেলেই কাপড় ছোট হয়ে যায়।” ফারিয়ার বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কটাক্ষ করে জাহিদুল লেখেন, “বিয়ের নামে মক্কেল ধরবে একটা একটা, তারপর শুধু বিদেশ ট্যুর, এরপর ডিভোর্স দিয়ে টাকা। ব্যাবসা ভালোই চলে।” আমিজম নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে থাকলে বোরকা পরে, বাহিরে গেলেই হাপ পেন্ট পরে।” তাছাড়া অসংখ্য মন্তব্য রয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। তবে নেটিজেনদের অনেকে ফারিয়ার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেও মন্তব্য করেছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ফারিয়া। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।
ঢাকা/শান্ত