২ লাখেরও বেশি শিশুকে টিকা দিবে নারায়ণগঞ্জে সিটি কর্পোরেশন
Published: 8th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে ২ লাখের অধিক শিশুকে টাইফয়েড টিকা দিবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সিটি এলাকার তিনটি স্থায়ী কেন্দ্রে ১০ কার্যদিবস চলবে এ কার্যক্রম। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার নাফিয়া ইসলাম।
তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ১০ কার্যদিবস পর্যন্ত প্রাথমিক-প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সিটি করেপোরেশন এলাকায় তিনটি জোনে মিলিয়ে মোট ২,১৪,১১৮ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল (জোন-১) এ ১৭৫টি স্কুলে ৬৭,৬৭০ জন এবং ৩৮টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ২৭,৬৭০ জনসহ মোট ৯৫,৩৩০ জন। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল (জোন-২) এ ১৬৮টি স্কুলে ৪২,৯৯৬ জন এবং ৩৮টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ১৯,০৯৭ জনসহ মোট ৬৪,৪৬৩ জন।
কদম রসুল অঞ্চল (জোন-৩) এ ১২৫টি স্কুলে ৩৮,৬৭৩ জন এবং ৩৩টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ১৪,৪৫৯ জনসহ মোট ৫৪,৮০৮ জন।
এছাড়াও ৯ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৮ কার্যদিবস সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকার তিনটি জোনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর কুতুবুল আলম, ইপিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন, মুর্শিদা আক্তার, হাফিজ উদ্দিন খাঁন।
এসময় নূর কুতুবুল আলম বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। কারণ এত বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা দেয়ার নজির অন্য কোন দেশে নেই।
তিনি আরও বলেন, টিকা নিয়ে অনেক সময় ভুল ধারণা ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা রাখতে আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়-দেশে প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ৮,০০০ জনের মৃত্যু ঘটে। আক্রান্তদের অধিকাংশই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ (এইউ) ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪,৭৭,৫১৮ জন টাইফয়েড রোগী ছিল, অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৯০ জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৬১ শতাংশই ১৫ বছরের নিচের শিশু।
সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এবং বৈশ্বিকভাবে ঔষধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বে টাইফয়েডে আক্রান্তের হার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ট ইফয় ড
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারে ৭৭ নম্বর পিলারে ফাটলের চিহ্ন
শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে পঞ্চপটিক টু মুক্তারপুর নির্মাণাধীন দ্বিতল সড়কের ৭৭ নম্বর পিলারের উপরের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর মুন্সিবাড়ি এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, ভূমিকম্পের আগে পিলারটি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের পরপরই উপরের অংশে স্পষ্ট ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে পিলারের নিচের অংশ একেবারেই অক্ষত।
এ বিষয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে ফ্লাইওভারের কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, ভূমিকম্পের আগ পর্যন্ত পিলারটিতে ফাটলের কোনো চিহ্ন ছিল না।
ফাটলটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন আছে কি না—এ নিয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
প্রকল্পটি জিওবি এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সড়ক ও ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাতায়াত করেন। এমন অবস্থায় সাধারণ পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে পঞ্চবটি- মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ফ্লাইওভারে কোথাও ফাটল ধরেনি। ফ্লাইওভারের নিচে ব্লক গুলোর চলটি (আস্তরণ) উঠে গেছে। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো রায়হান কবির জানান, পিলারের ব্লকে ফাটল দেখা যাওয়ার বিষয় আমি সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি এবং বিষয়টি যাচাই করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং সাধারণ মানুষের ঝুঁকি না থাকে।