জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও তাঁর স্ত্রী সবিতা আগারওয়ালার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান ও তাঁর স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধেও মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো.

আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

দুদকের তথ্যমতে, দিলীপ কুমার আগারওয়ালা অসাধু উপায়ে ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনও শনাক্ত হয়েছে। এসব অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে তিনি প্রকৃত আয়ের উৎস আড়াল করেছেন।

দুদক বলছে, দিলীপের স্ত্রী সবিতা আগারওয়ালা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন। তাঁর ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২১৩ কোটি ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সবিতা আগারওয়ালার বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

এদিকে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক খানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে দুদক। ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধেও মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গ্রেপ্তার০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ল প ক ম র আগ

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক স্পর্শ করল ট্রাস্ট ব্যাংক

বেসরকারি খাতের ট্রাস্ট ব্যাংকের আমানত ৫০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। কেক কেটে এই অর্জন উদ্‌যাপন করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত এক বছরে ব্যাংকটি তাদের সেবার বিস্তৃতি বাড়িয়েছে। এ জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠানের বেতন হিসাব ট্রাস্ট ব্যাংকে চালু করেছে। এর ফলে ৯ মাসে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত বেড়েছে ব্যাংকটির।

এ বিষয়ে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া আমরা দেশজুড়ে আমাদের নেটওয়ার্ক বাড়ানো চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও গ্রাহকদের আরও কাছাকাছি সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফলে ছোট ছোট আমানতকারীরা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের বেতন আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে হচ্ছে। সব মিলিয়ে তাই আমাদের আমানতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’

আহসান জামান চৌধুরী জানান, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের যে আমানত বেড়েছে, তার মধ্যে ৬২ থেকে ৬৩ শতাংশই খুচরা গ্রাহকদের। বাকিটা করপোরেট ও এসএমই গ্রাহকদের।

জানা যায়, ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৪৪ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকায়। ফলে ৯ মাসে নিট আমানত বেড়েছে ৫ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৩৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে যা ২২ শতাংশ বেড়ে হয় ৪৪ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৩৩ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সাল শেষে বেড়ে হয় ৩৭ হাজার ৮২৪ কোটি টাকায়।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত বেড়েছে গত মার্চে। ওই মাসে এক হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা আমানত বেড়েছিল ব্যাংকটির। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমানত বেড়েছে গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ২৬২ কোটি টাকা আমানত বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। এই নয় মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে চার মাস হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত বেড়েছে ব্যাংকটির। মার্চ ও সেপ্টেম্বর ছাড়া বাকি দুই মাস হলো মে ও জুন। এর মধ্যে মে মাসে ১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা এবং জুনে ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকা আমানত বেড়েছে।

ট্রাস্ট ব্যাংক সম্প্রতি ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমতিপত্র পেয়েছে। বন্ডটির নাম টিবিএল অষ্টম সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি ব্যাংকটিকে এই বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা এই ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইনডেক্স অ্যাগ্রোর পর্ষদ সভা ১৬ অক্টোবর
  • ৫০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক স্পর্শ করল ট্রাস্ট ব্যাংক
  • কুষ্টিয়ায় লটারিতে হারা প্রার্থী জিতলেন আদালতের গণনায়
  • করুর ট্র্যাজেডির পর বিজয়কে নিয়ে যা বললেন কাজল
  • সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬%
  • বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 
  • নগদ লভ্যাংশ দিল মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  • প্রকল্পের ফাইল উপদেষ্টা কেন বাসায় নিয়ে যান?
  • ডেসকোর পর্ষদ সভা ১২ অক্টোবর