স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের জীবনাবসান
Published: 8th, October 2025 GMT
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তোফায়েল আহমেদের একমাত্র জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ‘ব্লক’ ধরা পড়েছিল বলে জানান জামাতা সরোয়ার জাহান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছাড়াও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তোফায়েল আহমেদের। আজ বুধবার বিকেলে তাঁর হৃদযন্ত্রে রিং পরানোর জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলার মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেহপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তোফায়েল আহমেদকে দাফন করা হবে বলে সরোয়ার জাহান জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ফ য় ল আহম দ র হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক, গণপিটুনি
সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।
ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।