সততা ও নৈতিকতার জাদুতেই দূর হবে দুর্নীতি: সালেহ আহমেদ
Published: 8th, October 2025 GMT
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা শুধু একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জনগণের আস্থা অর্জনের মূল চাবিকাঠি।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি নিয়ম-নীতি মেনে এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করি, তাহলে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত, মানসম্মত ও টেকসইভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ক্রয়ের ক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতার জাদুতেই দুর্নীতি দূর করা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
দুদকের মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের সাবেক নাজির কারাগারে
রংধনু গ্রুপের মালিকের বিলাসবহুল হোটেলসহ ৩৩ কোটি টাকা ক্রোক
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা (পিপিআর-২০২৫)’ শীর্ষক লার্নিং সেশনে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান মো.
এএসএম সালেহ আহমেদ বলেন, “সরকার ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিওরমেন্ট) চালু করে সরকারি ক্রয়ে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে মূল্যায়ন ও চুক্তি সম্পাদন—সবকিছুই এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন হচ্ছে। এর ফলে সময়, ব্যয় এবং অনিয়ম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার যতই আধুনিক হোক না কেন, এর সঙ্গে নৈতিকতা, দক্ষতা ও সততার সমন্বয় না থাকলে তা পুরোপুরি কার্যকর হয় না। নীতিগত দুর্বলতা থাকলে কোনো ব্যবস্থাই সফল হতে পারে না।”
তিনি বলেন, “স্বচ্ছতা কেবল একটি প্রশাসনিক বিধান নয়, এটি একটি মূল্যবোধ। আমরা যদি এই মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, তবে সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা, সাশ্রয় এবং জনগণের বিশ্বাস—এই তিনটি অর্জন করা সম্ভব হবে। ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আচরণে সত্যনিষ্ঠা, সততা, ন্যায়বোধ, দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।”
সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আইন, নীতি, পেশাগত মানদণ্ড ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সিনিয়র সচিব।
লার্নিং সেশনে প্রশিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ই প্রথম ‘সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা (পিপিআর-২০২৫)’ শীর্ষক এই লার্নিং সেশনের আয়োজন করেছে।”
সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এজেএম সালাউদ্দীন নাগরি, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠছে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসন। এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে দলের মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু। তিনি প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে সমাবেশ করেন ইসরাফিল খসরু।
বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি মন্তব্য করে ইসরাফিল খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের নীলনকশা। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পরপর চারবার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমীর খসরু মাহমুদ।
এবারের নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এর মধ্যেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাফিল খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের বিষয়।’