অগ্নি ঝুঁকিতে মানিকগঞ্জ: লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে কয়েকশ’ প্রতিষ্ঠান
Published: 9th, October 2025 GMT
মানিকগঞ্জে প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভবন নির্মাণ, বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জেলার সাতটি উপজেলার প্রায় ৩০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের সনদ নবায়ন ছাড়াই চলছে। বহু প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের সনদই নেয়নি। এতে পুরো জেলার গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিবেশ অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে।
মানিকগঞ্জে এরইমধ্যে ২০২৪ সালে ২৩২টি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৪৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এমন অরক্ষিত থাকার কারণে আরও যে অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না, এমনটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় জানায়, জেলার একাধিক ভবনে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র, পানির উৎস কিংবা নির্গমন পথ নেই। এসব কারণে ৩০টি বড় বাণিজ্যিক ভবনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে প্রাপ্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে। এখানে ২৩টি স’ মিল, ২৩টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল এবং ১৮টি শিল্প কারখানা লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া বেকারি, অয়েল মিল, স্টোর, ব্যাটারি, সিএনজি পাম্পসহ প্রায় ৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া চলছে।
সিংগাইরে ১৭টি স’ মিল, ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ১৬টি শিল্প কারখানা লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে। এছাড়া দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ঘিওরে মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠান ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর মধ্যে স’ মিল ও রাইস মিল ৭টি, স্টোর ১৫টি, হার্ডওয়্যার ৭টি, এন্টারপ্রাইজ ১১টি, ট্রেডার্স ৮টি, টেলিকম ৪টি, গ্যাস স্টেশন একটি, বেকারি একটি, ইলেকট্রনিক্স দুটি এবং ফ্যাশন একটি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত।
হরিরামপুরে তিনটি স’ মিল, দুটি বেকারি, দুটি ক্লিনিক এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে। দৌলতপুরে ৫টি স’ মিল, একটি বেকারি, দুটি ক্লিনিক এবং ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া কার্যক্রম চালাচ্ছে।
শিবালয়ে তিনটি বড় প্রতিষ্ঠান, তিনটি স’ মিল, ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে। সাটুরিয়ায় ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সাতটি উপজেলায় লাইসেন্স নবায়নবিহীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮৫টি ছাড়িয়েছে। এতে হাসপাতাল, ক্লিনিক, স’ মিল, অয়েল মিল, ইটভাটা, বেকারি, ব্যাটারি ব্যবসা, সিএনজি পাম্প, প্লাস্টিক কারখানা, কেমিক্যাল ও গ্যাস সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ভবন, দোকানপাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস কারখানা অন্তর্ভুক্ত। অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ফায়ার অ্যালার্ম, এক্সিট প্ল্যান বা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, যা অগ্নি ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি করছে।
বাংলাদেশ ফায়ার প্রিভেনশন অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং অ্যাক্ট ২০০৩ অনুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা অবৈধ। আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করার বিধানও রয়েছে। তবে বাস্তবে মানিকগঞ্জে আইন প্রয়োগ ‘দুর্বল’। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নোটিশ পাওয়ার পরও লাইসেন্স নবায়ন করছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সনদ পেতে হলে অনেক নিয়ম কানুন মেনে ভবন নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হয়। যারা আইন মানতে চান না, তারাই সনদ নেন না। আবার অনেকক্ষেত্রে ফায়ার সনদ না থাকলে সরকারি অনেক দপ্তরের অনুমোদন আটকে দেওয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে অনেকে ফায়ার সনদ নিয়ে থাকেন। তবে তাদের অন্য দপ্তরের কাজ হাসিল হয়ে গেলে আর ফায়ার সনদ নবায়ন করেন না। পরিদর্শন কর্তৃপক্ষ অনেক সময় সব ঠিক ঠাক না থাকলেও ফায়ার সনদ ইস্যু করেন। ফলে সব মিলিয়ে অগ্নি ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন ১৯টি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের ভাষ্য, লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া জটিল ও ব্যয়বহুল হওয়ায় এ সনদ নেওয়ার আগ্রহ কম। একবার সনদ নিলে পুনরায় তা নবায়ন করতে হয়- বিষয়টি অনেকে জানেনই না। কেউ কেউ ‘লাইসেন্স ছাড়াই চলছে, তাই আমিও নিচ্ছি না’ এই মানসিকতা নিয়ে অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।
উন্নয়নকর্মী ও কলেজ শিক্ষক ইয়াসিনুর রহমান বলেন, “মানিকগঞ্জ দিনদিন ‘ফায়ার রেড জোন’-এ রূপ নিচ্ছে। অর্থনীতি ও নাগরিক নিরাপত্তা দুটোই এখন অগ্নি ঝুঁকিতে। লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ফলে ফায়ার সেফটি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, ছোট্ট একটি অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। এখনই প্রয়োজন শক্তিশালী তদারকি, সচেতনতা ও শাস্তির সঠিক প্রয়োগ।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “প্রতিনিয়ত নতুন ভবন হচ্ছে, নতুন দোকান হচ্ছে কিন্তু কেউ ফায়ার সেফটি নিয়ে ভাবছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান অভিযান করে না। আগুন না লাগা পর্যন্ত যেনো কারো ঘুম ভাঙবে না- পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে। মানিকগঞ্জ এখন এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি ও জরিমানার বাস্তব প্রয়োগ, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা ছাড়া এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।”
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ফায়ার লাইসেন্স বা নবায়ন না থাকলে সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। সম্প্রতি জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলে ফায়ার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। ফলে উভয় দপ্তরের মধ্যে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভোগান্তি এড়াতে আমরা নিয়ম মেনে বিবেচনাসাপেক্ষে ছাড়পত্র প্রদান করছি। পরিবেশের সুরক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ফায়ার লাইসেন্সও অপরিহার্য। তাই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কোনো ছাড়পত্র ইস্যু করা হয় না।”
মানিকগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো.
সার্বিক বিষয় নিয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, “প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনজন ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর বিষয়গুলো দেখেন। তারা কেউ এমন বিষয় আমাকে জানাননি।”
‘আপনি জেলার ফায়ার সার্ভিসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এ বিষয়গুলো আপনার দেখাভাল করা উচিত কিনা, আপনাদের এমন গাফলতির কারণে পুরো জেলা অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে’ এমন মন্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা স্কুল, কলেজেসহ বিভিন্ন জায়গায় সচেতনামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর চাইলে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করব।”
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ য় র সনদ ম ন কগঞ জ র ছ ড়পত র প রক র য় র সনদ ন পর ব শ ন বল ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি বিএনপি নেতার
চাল বিতরণে অনিয়ম করায় ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে শরীয়তপুরের এক বিএনপি নেতার। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ডিলারশিপের মালিক নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রকাশিত সংবাদ সরিয়ে না নিলে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা বা অন্যত্র যত রাজনৈতিক মামলা হবে, সব মামলায় আসামি করা হবে সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়কে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়।
ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান হৃদয় জানান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি তিনি। গত ৭ অক্টোবর বার্তা বাজার পত্রিকায় ‘চাউল বিতরণে অনিয়ম বিএনপি নেতার রোষাণলে ইউএনও’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বিএনপি নেতা সাগর ও সাগর ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সরকারি চাউল বিতরণের অনিয়মের খবর প্রকাশ হয়।
এর জের ধরে গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় একটি মোবাইল নম্বর থেকে আশিকুর রহমান হৃদয়কে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার হুমকি প্রদান করেন।
এছাড়াও সাংবাদিক হৃদয়কে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) আমার বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করার হুমকি প্রদান করেন সাগর।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চাল বিতরণে অনিয়ম করায় ডিলারশিপ বাতিল হওয়া মতিউর রহমান সাগরের হুমকিতে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়।
বিষয়টি নিয়ে আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, “মতিউর রহমান সাগরের প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় জিডি করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।”
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “আমি সাংবাদিক হিসেবে কাউকে কোন হুমকি দেইনি। গালিগালাজও করিনি। আশিকুর রহমান যাত্রাবাড়ীতে ছাত্রলীগ করতো। সে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লেখালেখি করছে। তাই তাকে ফোন করে এসব না করার জন্য বলেছি। সে কোন সাংবাদিক নয়, সে ছাত্রলীগ নেতা।”
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, “এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, “মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। পরে খাদ্য অধিদপ্তর হতে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এসব ঘটনা নিয়ে তিনি আমার উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এরইমধ্যে জানতে পেরেছি তিনি আমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের একটি অভিযোগ করেছেন। যদি বিভাগীয় কমিশনার স্যারের কাছে এ অভিযোগ করা হয়, তাহলে তারা তদন্ত করে দেখবেন। আশা করি আপনারাও তখন জানতে পারবেন।”
ঢাকা/আকাশ/এস