Prothomalo:
2025-11-26@15:10:09 GMT

নতুন বন্ধু

Published: 9th, October 2025 GMT

‘আমি আর বহ্নি মিলে নতুন একটা ব্যান্ড ফর্ম করতেছি। বহ্নির লেখা লিরিকগুলা ভালো। সাথে পলাশ, শিশির আর ঘাউড়া সজীবরে নিব, বুঝছিস! আমাদের ব্যান্ডের একটা নাম দিয়া দে তো।’ কথাটা শেষ করে অয়ন আয়েশ করে চুমুক দিল কফিতে। আমি চোখ গরম করে তার দিকে তাকায়া বললাম, ‘তুই কি এই জন্য আমারে ডাকছিস? তোদের ব্যান্ডফ্যান্ডে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই। আমি তোর সাথে আর নাই।’

অয়ন তার ম্যাগি নুডলসের মতো চুলগুলা হাত দিয়া মুখের সামনে থেকে সরাতে সরাতে বলল, ‘আমিও অনেক ভাবছি। আমি আসলেই ইনটলারেবল একজন মানুষ। তাও তুই এত দিন আমারে সহ্য করছিস, আমি গ্রেটফুল। তুই ঠিকই আছিস। আমার সাথে থাকিস না। আমি তোরে আটকামু না। এইটা কইতেই আমি তোরে ডাকছি।’

আমাদের টেবিলটা ক্যাফের কর্নারে। আমাদের সোজাসুজি উল্টাদিকে দুজন ছেলে–মেয়ে বসে আছে। মেয়েটা ঘন ঘন অয়নকে দেখতেছে। ক্যাফেতে কটকটা হলুদ রঙের আলো জ্বলতেছে। এই রকম বদসুরত আলোয় আমার মাথা ধরে যেতে থাকল। অয়ন ছেলেটা ‘রকস্টার’ সিনেমার রণবীরের মতো। গান গাইতে চেয়ে সে দুঃখ খুঁজতে বের হয়েছিল। দুঃখ তার কতটা পাওয়া হলো জানি না, তবে প্রেম যে তাকে পায় না, আমি তা জানি।

অয়ন আবার কথায় ফিরল, ‘কিন্তু আমি তোর সাথে যোগাযোগটা হারাইতে চাই না। তোর বন্ধু হয়ে থাকতে চাই।’ আমি অয়নের দিকে তাকায়া থাকলাম। আমার অয়নরে বলতে ইচ্ছা করল, আমি তো তোরে ভালোবাসি। এখন আমি তোর বান্ধবী না, বউ হইতে চাই।

অয়ন আবার কথায় ফিরল, ‘কিন্তু আমি তোর সাথে যোগাযোগটা হারাইতে চাই না। তোর বন্ধু হয়ে থাকতে চাই।’

আমি অয়নের দিকে তাকায়া থাকলাম। আমার অয়নরে বলতে ইচ্ছা করল, আমি তো তোরে ভালোবাসি। এখন আমি তোর বান্ধবী না, বউ হইতে চাই। তোরে ছাইড়া আমি থাকতে পারব না।

কিন্তু বলতে পারলাম না। অয়ন যত সহজে বলতে পারল, ‘আমি আটকামু না,’ তত সহজে আমি যাইতে পারব না জেনেই বলতে পারলাম না। আর বললেও অয়ন বুঝত না। তার বোঝার কথা না।

জেরিন সব সময় বলত, ‘এই সব লম্বা চুলের কানফোঁড়ানো হেভি রক গাওয়া ছেলেদের কিছুই কইয়া লাভ নাই। তারা ততটুকুই বোঝে, যতটুকুতে তাদের সুবিধা।’ তাই অসুবিধা না ঘটাইয়া আমি ক্যাফে থেইকা বাইর হইয়া রাস্তায় নামলাম। অয়ন আমারে ডাকল না। বলল না, চল, তোরে বাসায় দিয়া আসি। খালি কইল, ‘তুই যা। আমি ওয়েট করি। বহ্নি আসতেছে।’

আমি যাইতে থাকলাম। হাঁটতেছি তো হাঁটতেছি। সামনের পয়েন্টে বিশাল জ্যাম। মানুষ আর মানুষ। মনে হইলো, খুব পাতা উড়তেছে। পায়ের তলার রাস্তা ঢেউ হয়ে গেছে। রাস্তার সব মানুষের মুখ এক লাগতেছে। মনে হইলো, সবাই একমুখ। সবাই ঘোড়ার মতো দৌড়াইতেছে। মনে হইলো, সব যখন এক লাগতেছে, চশমা পইরা কী লাভ? খুইলা রাখলাম ব্যাগে। রিকশাওয়ালা জিগাইল, ‘আপা, কই যাইবেন?’ আমি কইলাম, জাহান্নামে, যাবা? ব্যাটা উত্তর না দিয়াই গেলগা। আমি হাঁটতে থাকলাম। যেন হাঁইটাই আজকে আমি অ্যান্টার্কটিকা পার করব। হাঁইটাই আমি আমারে ছাড়ায়া যাব।

কিন্তু অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া আমার হইল না। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পরে আমি আমারে নিয়াই আমার বাড়ির গেটে দাঁড়াইলাম। হাত উল্টায়া ঘড়ি দেখলাম। সাতটা বাজে। দিন না রাত, কিছুই বুঝতেছি না। সব সেই ক্যাফের হলুদ রং হয়ে আছে। ঘরে ঢুইকাই রান্নাঘরে গেলাম। একথাল ভাত নিলাম। কাঁচা মরিচ না পাইয়া শুকনা মরিচ ভাজলাম একমুঠ। কী জানি তরকারি ডেকচিতে; খেয়াল না কইরাই একহাতা নিয়া নিলাম। টেবিলে বইসা খাইতেছি; আম্মা চিল্লায়া উঠল, ‘এই ভর সন্ধ্যাবেলায় এত ভাত নিয়া বসছোস! লগে এতডি মরিচ! কী খায়া আসছোস, হারামজাদি? নেশা ধরছোস? মিশোছ তো সব গাঁজাটি গো লগে! কী খাইছোস ক!’

শুকনা মরিচের ঝালে আমার চোখ বুইজা আসতে থাকল। আম্মার কথাগুলা ভাঙা ঢেউয়ের শব্দের মতোন নরম হয়ে আসতে থাকল আমার কানে। চোখের পানিতে সামনে দাঁড়ানো আম্মারে মনে হইল জলের ছায়া। আমি নাক টানতে টানতে কইলাম, ‘আম্মা, আমার নতুন একটা বন্ধু হইছে। নতুন বন্ধু।’

শুকনা মরিচের ঝালে আমার চোখ বুইজা আসতে থাকল। আম্মার কথাগুলা ভাঙা ঢেউয়ের শব্দের মতোন নরম হয়ে আসতে থাকল আমার কানে। চোখের পানিতে সামনে দাঁড়ানো আম্মারে মনে হইল জলের ছায়া। আমি নাক টানতে টানতে কইলাম, ‘আম্মা, আমার নতুন একটা বন্ধু হইছে। নতুন বন্ধু।’

আম্মা ঠাস কইরা চড় দিল মনে হইল। আমি ভাত শেষ কইরা নিজের ঘরে গেলাম। আমার নতুন বন্ধুরে খুব মনে পড়ল। ফোন দিতে ইচ্ছা করল। দিলাম পুরানা বন্ধু শাহেদরে ফোন। সে কইল, পনেরো মিনিট পর তার লাইভ আছে। সে এখন অ্যাভেইলেভল না। কী জানি একটা বিদেশি অর্গানাইজেশনের সেমিনার। নারী ও শিশু নিয়া। এরা বকবকাইলে টাকা দেয়। আজকের বকবকের জন্য তারা তারে দুই শ ডলার দিতেছে। কালকে শাহেদ ট্রিট দিব আমারে।

শাহেদরে নতুন বন্ধুর কথা না কইয়াই ফোন রাখতে হইল। ফোন দিলাম ইতিরে। ইতি শুইনাই চিৎকার দিল, ‘তোরে আগেই কইছিলাম, হারামজাদি, অই গাঞ্জুটিরে ছাড়। ওয় বহ্নির লগে ঘুইরা বেড়াইতেছে। চিপায়–চাপায় চুমু খাইতেছে। তোরে ছাড়ার আগে তুই ছাড়, তখনই কইছিলাম! চার বছর প্রেম কইরা এখন বন্ধু হওয়ার শখ হইছে। চুলগুলা আগুন দিয়া জ্বালায় দিতে পারলি না শালার?’

আমি কিছুই কইতে পারলাম না। ইতিই কইল, ‘শোন মৌ, আমি এখনই তোর বাসায় আসতেছি। তোর ব্রেকআপ নাইট গ্র্যান্ডওয়েতে সেলিব্রেট করব। আইম কামিং দোস্ত,’ বইলাই লাইন কেটে দিল।

আমার বুকের ভেতর কয়েক শ গ্রাম দাউদাউ কইরা পুড়তে থাকল। অসহায় মানুষের মতো অনুভূতিগুলা, বছর চারেকের মুহূর্তগুলা আহাজারি করতে থাকল। আমার নতুন বন্ধুরে আমার মনে পড়তে থাকল। চার বছরের পুরানা প্রেমিক আমার মাথার মধ্যে নতুন বন্ধু হয়া দপদপ করতে থাকল। আমি ঘুমায় গেলাম।

দেখলাম, একটা পাহাড়ে বেড়াইতে গেছি। জায়গাটা সুন্দর। মেঘ উড়তেছে। একটু আগাইতেই দেখলাম, অয়ন আর বহ্নি। অয়ন আমার দিকে হাত নাড়ল। আমি আগায় যাইতেই বহ্নিরে দেখায়া কইল, ‘সালাম কর, এইডা তোর ভাবি।’ আমি বহ্নির দিকে তাকাইলে হাইসা সে কইল, ‘নতুন বন্ধু, কেমন আছেন?’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ন থ কল ম আম ম র

এছাড়াও পড়ুন:

এবারও কি হযবরল বিপিএলই হবে

শুরু থেকেই বিতর্ক সওয়ার হয়ে থাকায় বিপিএলের স্লোগান হতে পারে—‘জন্ম থেকে জ্বলছি’। এবারও তার ব্যতিক্রম না হওয়ারই শঙ্কা। ৩০ নভেম্বর খেলোয়াড় নিলাম, তার চার দিন আগেও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে নাই–বা কেন!

গভর্নিং কাউন্সিলের শর্ত পূরণ করে যে আজ পর্যন্ত টাকাপয়সার নিশ্চয়তাই পুরোপুরি দিতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাই খোদ গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান বলতে বাধ্য হচ্ছেন, ‘আমরা ফায়ার ফাইট করছি।’

বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর। এবার শুরুতে খেলা হবে সিলেটে। তার আগে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন ইফতেখার। তবে মিনিট চল্লিশেকের সেই প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিষ্কার হয়েছে, বিপিএল নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর তাঁর নিজের কাছেই নেই। ক্ষেত্রবিশেষে তিনি তা স্বীকারও করেছেন। শেষে এমন প্রশ্নও উঠেছে—এ রকম হযবরল অবস্থায় টুর্নামেন্ট আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ কি না? ইফতেখার অকপটে বলেছেন, ‘আমি আপনার প্রশ্নের সঙ্গে সহমত পোষণ করি।’

২০১২ সাল থেকে বোর্ডের অধীন যখন বিপিএল হয়েছে, প্রায়ই দেখা গেছে, বিসিবি কঠোর সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না। আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকলেও ফিক্সিংয়ের বিষবাষ্প ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলেও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতেও ছাড় দিয়েছে বোর্ড। এবারও একই লক্ষণ।

পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম আগেই ঘোষণা হয়েছিল। পরে সময় পেরিয়ে নেওয়া হলো নোয়াখালী এক্সপ্রেস নামের ষষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি। ইফতেখার জানিয়েছেন, কোয়াবের অনুরোধে আরও বেশি ক্রিকেটারকে সুযোগ দিতেই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তিনিই আবার বলছেন, নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসসহ দু-তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো বিসিবির সব আর্থিক শর্ত পূরণ করেনি।

শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই মৌসুমে ২ কোটি টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ছাড়াও ১০ কোটি টাকা করে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। উদ্দেশ্য, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের টাকা না দিলে যেন সেখান থেকে বিসিবি তা নিশ্চিত করতে পারে।

আরও পড়ুনফ্র্যাঞ্চাইজি সংকটে পিছিয়ে গেল বিপিএল নিলামের তারিখ১৯ নভেম্বর ২০২৫

কিন্তু সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়নি। কেউ নগদ চেক দিয়েছে, কেউ পে-অর্ডার, কেউ দিয়েছে আংশিক। গভর্নিং কাউন্সিলও যা পাচ্ছে, তা–ই নিচ্ছে। কেন নিচ্ছে? ইফতেখার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে পারছে না। তাহলে প্রশ্ন, বিসিবি এমন শর্তই–বা দিল কেন, যা মানা যাবে না বলে তারা নিজেরাই জানে!

বিপিএলের সব ক্ষেত্রে বরাবরই বিশ্বাসের অভাব, এবারও সেই ধারা অব্যাহত। টাকাপয়সার ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর আস্থা দেখাতে পারেননি ইফতেখার। তাই জানিয়ে রেখেছেন, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি সময়মতো (সময়টা কখন শেষ হবে, তা অবশ্য বলেননি) সব টাকা না দিলে ৩০ নভেম্বর তাদের নিলামের টেবিলে বসতে দেওয়া হবে না।

তাহলে কি দল কমে যাবে? না, গভর্নিং কাউন্সিল নাকি বিকল্পও ভেবে রেখেছে। মালিক না পাওয়া দল হলে চালাবে বিসিবি নিজেই। আরও বিস্ময়কর তথ্য—৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে ২ থেকে ৩টির দায়িত্ব নেওয়ার মতো প্রস্তুতিও নাকি রাখা আছে বিসিবির!

আরও পড়ুনতড়িঘড়ির বিপিএলে আবারও বিপদের শঙ্কা০৭ নভেম্বর ২০২৫

আগের মতো ইফতেখার আজও বলেছেন, ভালো প্রতিষ্ঠানকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের আর্থিক অবস্থা যাচাই করা হয়েছে। কেউ ফিক্সিং বা অন্য কোনো কারণে সন্দেহভাজন কি না, তা যাচাই করতে আইসিসি ও দেশের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সবাই নাকি সব দিক দিয়ে ‘ক্লিয়ার’।কিন্তু আর্থিক অবস্থা এত ভালো হলে বিসিবির শর্ত তারা মানতে পারছে না কেন? ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে’ খোঁজ নিয়ে লাভই-বা হলো কী!

ইফতেখারের কথায় অসহায়ত্ব, ‘আমাদের যেসব কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানে তো সব ঠিক আছে...।’

গত বিপিএলে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্ত করে বিসিবি গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত সন্দেহভাজন খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের খেলা থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

কিন্তু বিসিবি সেই পরামর্শও মানছে না। অভিযুক্তরা থাকছেন এবারের বিপিএলেও, যাতে মনে হতে বাধ্য—বিপিএলে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে ইফতেখার অবশ্য ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা নেই’ বলে হাতই গুটিয়ে নিলেন।

আরও পড়ুনবিপিএলের নিলাম হবে কীভাবে, কীভাবে বাড়বে ক্রিকেটারদের দাম১১ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ