জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের সওদাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজন ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ পৌর শহরের সওদাগরপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার (৪৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় লিটন মিয়াকে ১০০টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নেওয়ার পথে লিটনের বাড়ির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং একপর্যায়ে লিটনকে ছিনিয়ে নেন। হামলায় উপপরিদর্শক মো.

রাসেল ও আহাম্মেদ এবং সদস্য আমিরুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া লিটন মিয়া ও হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিটনের মা ফিরোজা বেগম ও সহযোগী রিপন মিয়া।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবেন না। তাঁদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে চোরাই মুঠোফোন উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার ৫ পুলিশ সদস্য

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা চোরাই মুঠোফোন উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম (৩২), শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫)। তাদের প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুমন মিয়া (২৮) একটি চোরাই মুঠোফোন ব্যবহার করছেন বলে তথ্য পায় পুলিশ। মুঠোফোনের মালিক এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার শিবপাশা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মুঠোফোনসহ রুমন মিয়াকে আটক করা হয়।

তখন আটক রুমন উদ্ধার হওয়া মুঠোফোনটি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুমনের ভাই মামুন মিয়া ও কয়েকজন নারী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান বলে পুলিশের ভাষ্য। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।

তবে আটক হওয়া মামুন মিয়া দাবি করেন, যে মুঠোফোনটি চোরাই বলা হচ্ছে, সেটি তাঁর ভাই রুমন মিয়া কেনেন অপর এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তাঁর ভাই এ চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না।

এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়াসহ চারজনকে আটক করে বলে জানান নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হবিগঞ্জে চোরাই মুঠোফোন উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার ৫ পুলিশ সদস্য
  • দুদকের জালে বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা