বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম-নির্যাতনের দুটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তারে ১৩টি দপ্তরে পরোয়ানা পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবারই এসব পরোয়ানা ১৩টি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যে ১৩টি দপ্তরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হলো—পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), চিফ অব আর্মি স্টাফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), আর্মি হেড কোয়ার্টার্সের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক,  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পার্সোনেল সার্ভিসেস ডিরেক্টরেটের পরিচালক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি সিকিউরিটিজ ইউনিটের কমান্ড্যান্ট, প্রভোস্ট মার্শাল ও আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশনের সিও।

গতকাল গুমের দুটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের সেই কপি ১৩টি দপ্তরে পাঠানো হয়।

গুমের একটি মামলায় ১৭ জন আসামি এবং আরেকটি মামলায় ১৩ জন আসামি। এর মধ্যে দুটি মামলাতেই শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.

) তারিক আহমেদ সিদ্দিককে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলার একটিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা, কামাল ও বেনজীর ছাড়া এই দুই মামলার বাকি ২৫ আসামি অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

এক নারী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভিডিও বক্তব্য প্রচার করছেন এবং তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, সরকার বিষয়টির দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে এবং এই মর্মে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয় বিবেচনা করবে।

আজ বুধবার ‘মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি’ শিরোনামে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা বলেছে। অতন্দ্রানু রিপা নামের ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।

বার্তায় বলা হয়েছে, ‘অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, তিনি এ বক্তব্য প্রচারকারী নারীকে চেনেন না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্কের বিষয়ে যেসব দাবি করা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের মিথ্যা বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।’

এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যথায় এসব মানহানিকর, আপত্তিকর ও চরিত্র হননের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।

ওই ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, তার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় আট মাস আলোচনা করে গত অক্টোবরে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশন গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিকল্প দুটি সুপারিশ জমা দেয়। তার ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ