টাইমস হায়ার র্যাঙ্কিংয়ে ২০০ ধাপ এগিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 9th, October 2025 GMT
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (THE) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬ প্রকাশ করেছে। এ বছর বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে অবস্থান করে আগের বছরের তুলনায় ২০০ ধাপ এগিয়েছে। গত বছর এই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ১০০১ থেকে ১২০০–এর মধ্যে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান ধরে রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টাইমস হায়ার এডুকেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৩ হাজার ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে।
শিক্ষা, গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার মান, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতা সূচকের ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
সূচকভিত্তিক অগ্রগতি
গবেষণার পরিবেশ সূচকে আগের বছরের তুলনায় ৩ পয়েন্ট অগ্রগতি (১০.
গবেষণার মান সূচকে ৯.৩ পয়েন্ট অগ্রগতি (৬৭.২-৭৬.৫) হয়েছে।
শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতা সূচকে ১১.৮ পয়েন্ট অগ্রগতি (২১.৪-৩৩.২) হয়েছে।
শিক্ষা সূচকে বর্তমান পয়েন্ট: ১৭.৭
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে পয়েন্ট: ৪৫
আরও পড়ুনদেশ সেরা ড্যাফোডিল–গাজীপুর কৃষি–জাহাঙ্গীরনগর–নর্থ সাউথ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়১ ঘণ্টা আগেএদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই কমিটি কাজ করছে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুস সালাম, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি) সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম রেজাউল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সামসাদ মর্তূজা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. শরীফ উল্ল্যাহ মজুমদার, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আহসান হাবীব, অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান, আইসিটি সেলের কম্পিউটার প্রোগ্রামার মো. সাদিক সরোয়ার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাজিব মাহমুদ সামিম পারভেজ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) র্যাঙ্কিংয়েও দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫৮৪তম।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫: ফলাফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
এক নারী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভিডিও বক্তব্য প্রচার করছেন এবং তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, সরকার বিষয়টির দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে এবং এই মর্মে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয় বিবেচনা করবে।
আজ বুধবার ‘মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি’ শিরোনামে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা বলেছে। অতন্দ্রানু রিপা নামের ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, তিনি এ বক্তব্য প্রচারকারী নারীকে চেনেন না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্কের বিষয়ে যেসব দাবি করা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের মিথ্যা বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।’
এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যথায় এসব মানহানিকর, আপত্তিকর ও চরিত্র হননের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
ওই ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, তার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় আট মাস আলোচনা করে গত অক্টোবরে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশন গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিকল্প দুটি সুপারিশ জমা দেয়। তার ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার।