যানজট নিরসনে উপদেষ্টার ছয় দফা নির্দেশনার পরও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। বিশ্বরোড গোলচত্বর এলাকার দুই-তৃতীয়াংশ অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ অবৈধ টংদোকানের দখলে আছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় সড়কজুড়ে কাদাপানি। সড়কে শৃঙ্খলার অভাবে যানবাহনগুলো এলোমেলোভাবে চলাচল করছে। গত শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া যানজট আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও অব্যাহত ছিল।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গতকাল সরাইল বিশ্বরোড এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনিও যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে যান। সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলার অভাবসহ যানবাহনগুলোর এলোমেলো চলাচল তিনিও দেখেছেন। বেহাল সড়ক মেরামত ও যানজট নিরসনে উপদেষ্টা ছয় দফা নির্দেশনা দিলেও শৃঙ্খলা না ফেরায় যানজট দূর হয়নি।

আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান করে দেখা গেছে, তিন স্তরের ইট বিছিয়ে মন্থর গতিতে মেরামতকাজ চলছে। তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার। আজ পর্যন্ত কাজ অর্ধেক শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে দীর্ঘ যানজট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে কার্যকর উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শনিবার বিকেল থেকে সরাইল বিশ্বরোড গোলচত্বর এলাকায় সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করে সওজ। গোলচত্বর অংশে ১২ মিটার প্রস্থ এবং ১৮৫ মিটার দৈর্ঘ্য আর গোলচত্বর থেকে সিলেটমুখী সরাইল কুট্টাপাড়া খেলার মাঠ পর্যন্ত ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থে তিন স্তরে ইট ও বালু বিছানো হচ্ছে। ঢাকা, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তৈরি ইট আনা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সওজের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে সড়কে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুনউপদেষ্টাকে দেখাতে তড়িঘড়ি করে চলছে সড়ক মেরামত০৬ অক্টোবর ২০২৫

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোলচত্বরের তিন দিকে মহাসড়কের ওপর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। মহাসড়কের ওপরই যাত্রী ওঠানামা চলছে। এ ছাড়া মহাসড়ক ঘেঁষে বানানো হয়েছে অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ টংদোকান। গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়কের ওপরই জেলার অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বাসগুলো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা চলছে। পুলিশের বাধা ও নির্দেশনা মানছেন না কেউই।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো.

আল মামুনকে স্থানীয় বাসগুলোকে মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নিতে ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে বাসসহ অটোরিকশাগুলোকে গোলচত্বর থেকে খানিকটা দূরে নির্দিষ্ট জায়গায় যাত্রী ওঠানামা করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছি। এখানে কেউ কথা শোনে না। যে যার মতো করে চলতে চায়।’

দুপুর ১২টার দিকে সরাইলের বেড়তলা থেকে বাড়িউড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা গেছে। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়কে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট নিরসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বর এলাকায় শৃঙ্খলা আনার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব শ বর ড য নজট ন র এল ক ম র মত

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি, সিদ্দিকীরাও আলোচনায় 

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন একাধিক নেতা। এর মধ্যেই অনুসারীদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

দুটি আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তাঁর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী–সমর্থকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। তাঁরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং দলীয় অসন্তোষ না মেটানো গেলে আসন দুটিতে বিএনপিকে চাপে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের মতে, কয়েকটি আসনে মনোনয়নবঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কিছু কর্মসূচি পালন করলেও এটা ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী আটটি আসনেই আগে থেকে প্রার্থী ঠিক করে মাঠে প্রচার চালাচ্ছে। জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, প্রচারে মাঠপর্যায়ে মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে জেলার আটটি আসনেই একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদ তিনটি আসনে এবং গণসংহতি আন্দোলন দুটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এ ছাড়া সব কটি আসনে প্রার্থী নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থীরাও প্রচারে সক্রিয়।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী)

আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম (স্বপন)। নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মোহাম্মদ আলীও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুল ইসলামকে (আজাদ) অবশ্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরেই বহিষ্কার করে বিএনপি। আসাদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মোন্তাজ আলী। এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা অলিক মৃ এই আসনে প্রার্থী হবেন বলে আলোচনা রয়েছে।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর)

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু এ আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। প্রায় ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে এই সাবেক উপমন্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এখানে আর কেউ দলীয় মনোনয়ন চাননি।

আবদুস সালাম ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। তিনি আবদুস সালামের ছোট ভাই।

জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবির। মাঠে সক্রিয় রয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল)

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক (নাসির) এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি সহজভাবে নেননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান (আজাদ) ও তাঁর অনুসারীরা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মাইনুল ইসলামও মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়ন না পাওয়া দুই নেতার কর্মী–সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এক হয়ে নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

মাইনুল হোসেন বলেন, ‘ওবায়দুল হক ঘাটাইলের সন্তান নন। তাই এটা ঘাটাইলের বিএনপির নেতা–কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে আমি অথবা লুৎফর রহমান খান যেকোনো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হব।’

ওবায়দুল হক বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে মাঠে নেমেছে। মনোনয়ন না পেয়ে দু–একজন কিছু অনুসারী নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’

জামায়াত প্রার্থী করেছে দলের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মো. হোসনী মোবারক বাবুলকে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রার্থী হবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান ওরফে মতিন। তবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদও (টিটো) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ তাঁর পক্ষে রয়েছে। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত সভা–সমাবেশ করছেন।

এদিকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হতে পারে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে। তিনি এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাঁচবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একবার (২০২৪) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে না থাকলেও দলের কর্মী–সমর্থকদের ওপর তাঁর প্রভাব রয়েছে।

এ আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির খন্দকার আবদুর রাজ্জাক।

টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর)

বিএনপি এখনো টাঙ্গাইল–৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এখানে দলের অর্ধডজন নেতা মনোনয়নের জন্য মাঠে থাকলেও বেশি সক্রিয় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু) এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। তাঁরা অনুসারী নেতা–কর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন জোরেশোরে। গণসংহতি আন্দোলন এ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে ছাত্র ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমানকে (বীথি)।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার)

বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আওয়াল (লাভলু)। প্রায় এক ডজন নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও দল মনোনয়ন ঘোষণা করার পর তাঁদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

এখানে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন এ কে এম আবদুল হামিদ। তিনি ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি। গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবীর হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন এ আসনে।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। তাঁকে পরিবর্তনের দাবিতে গত শুক্রবার সমাবেশ করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাবের অনুসারীরা।

এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা জামায়াতের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ তালুকদার। এখানে গণসংহতি আন্দোলন আলিফ দেওয়ানকে এবং গণ অধিকার পরিষদ তোফাজ্জল হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছে।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর)

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান টাঙ্গাইল–৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে অপর দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান এবং শিল্পপতি সালাউদ্দিন রাসেল এক হয়ে সভা–সমাবেশ করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

সালাউদ্দিন রাসেল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ চায় আমি নির্বাচন করি। ওনাদের ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা।’

এদিকে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থীকে একদিকে নিজ দলের ‘বিদ্রোহী’ এবং অপর দিকে কাদের সিদ্দিকীর মতো প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরা কাদের সিদ্দিকীর জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।

অবশ্য জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকীকে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ