নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধকে কেন্দ্র করে মায়ের লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর প্রায় ২০ ঘণ্টা পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেমের হস্তক্ষেপে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর এলাকার এনু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আরো পড়ুন:

পাবনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কেরাণীগঞ্জে হাত-পা বাঁধা রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহজাদপুর এলাকার মৃত মাওলানা সেলামত উল্ল্যাহর স্ত্রী আমেনা বেগম গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকায় তার মেয়ের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার লাশ স্বামীর কবরের পাশে দাফনের জন্য নিজ বাড়ি শাহজাদপুর গ্রামে ইনু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় দুই ছেলে নজিব উল্ল্যাহ ও সাইফুল্লার মধ্যে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি লেগে যায় এবং মায়ের লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়। এলাকার লোকজন তাদের মায়ের লাশ দাফন সম্পন্ন করতে অনুরোধ করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে সমঝোতা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা বিল্লাহ বলেন, ‘‘নজিব উল্ল্যাহ ও সাইফুল্লার মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও সমাধান হয়নি।’’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতায় এনেছি। দুপুর ২টায় পারিবারিক কবরস্থানে ওই নারীর লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।

গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ