আমার বুকটা আবার খালি হলো: শোকগ্রস্ত ওমর সানী
Published: 23rd, November 2025 GMT
বাংলা চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান নির্মাতা, ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম মারা গেছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। বিশেষ করে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। অভিনয়জীবনের শুরুতেই শেখ নজরুল ইসলামের হাত ধরেই আলোচনায় আসেন এই নায়ক।
নব্বই দশকের অন্যতম স্মরণীয় সিনেমা ‘চাঁদের আলো’। এই চলচ্চিত্রেই প্রথমবার বড় পর্দায় দেখা যায় ওমর সানীকে। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন মুক্তি। শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘চাঁদের আলো’ সিনেমা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটির জনপ্রিয় গান ‘তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো’ এখনো দর্শকের কাছে স্মৃতিতে অমলিন।
আরো পড়ুন:
মারা গেছেন ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম
দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে শাহরুখ খানের বক্তব্য
এই নির্মাতার মৃত্যু সংবাদে নিজের আবেগ লুকোতে পারেননি ওমর সানী। ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “আমার ওস্তাদ (চাঁদের আলো) না ফেরার দেশে চলে গেলেন, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন। আমার মনে হচ্ছে, আমার বাবা, আমার শ্বশুর—প্রিয়জনদের পর আমার বুকটা আবার খালি হলো।”
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওমর সানী লেখেন, “শেখ নজরুল ইসলাম একটি ইতিহাস, একটি চলচ্চিত্র। আমার মতো এক অধম ওমর সানীকে তিনি আবিষ্কার করেছিলেন। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, ওস্তাদ। সবাই দোয়া করবেন।”
রবিবার (২৩ নভেম্বর) নিজ জেলা নাটোরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৬ নভেম্বর দুপুরে মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
১৯৩৫ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের কালিগঞ্জ থানার পিপরুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ নজরুল ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষে জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমানের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে যোগ দেন। ১৯৭৪ সালে ‘চাবুক’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর নির্মাণ করেছেন বহু জনপ্রিয় ও সফল চলচ্চিত্র।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শ খ নজর ল ইসল ম চলচ চ ত র ওমর স ন দ র আল পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ফের রেল অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ফের রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে ২ ঘণ্টা ধরে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধকালে ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি স্বৈরাচার’, ‘সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেন ২ মাস’, ‘সময় চাই সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই’, ‘আমার ভাই অনশনে, পিসএসসি কী করে’, ‘আমার ভাই অনশনে, মাহফুজ কী করে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ছাত্রসমাজের অ্যাকশন’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আবু সাইদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এসব স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেছেন, আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ করেছি। গতকাল পিএসসির সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। তবে, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারেনি। আমরা পিএসএসিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা একটি যৌক্তিক সময় চাচ্ছি, যাতে আমরা যথাযথ প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো পজিটিভ সিদ্ধান্ত না পাচ্ছি, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন করব।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি দিতে চাই না। আমরা এর আগে পিএসসির সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। পিএসসির চেয়ারম্যান আমাদের সাথে দেখা করেননি। তারা যদি আমাদের সাথে দেখা না করে, তাহলে কাদের সাথে করবে? গতকাল যখন আমরা আন্দোলন করছিলাম, তখন রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে যে, রাত ৯টার মধ্য আমাদের জন্য পজিটিভ সিদ্ধান্ত আসবে। যদি না আসে তাহলে আমরা যেন আবারও রেল অবরোধ করি। ওনার কথার ভিত্তিতে মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা গতকাল আন্দোলন প্রত্যাহার করি। কিন্তু, আমরা সকাল পর্যন্ত কোনো পজিটিভ আশ্বাস পাইনি। তাই, আমরা বাধ্য হয়ে আবারও রেললাইন অবরোধ করি।
গতকাল দুপুর ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা রাজশাহীর সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
ঢাকা/ফাহিম/রফিক