ভোলার মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে পোয়া মাছ
Published: 23rd, November 2025 GMT
ভোলার মেঘনা নদীতে শীতের হাওয়া লাগতেই ইলিশ কমে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে পোয়া মাছ। জেলেদের জালে ইলিশ মিলছে হাতে গোনা। ঘাটে কেনাবেচায় দাম কম হলেও বাজারে এসব পোয়া দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শনিবার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিন ও আজ রোববার ভোলা সদর উপজেলার মাছঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্যমতে, পোয়া মাছকে স্থানীয়ভাবে ‘পোয়া’ বা ‘পামা’ নামেও ডাকা হয়। বড় পোয়া মাছের বায়ুথলি শুকিয়ে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এ কারণে এর বিশেষ মূল্যও আছে।
জেলেদের ভাষ্য, ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে মেঘনার মধ্যবর্তী চরের আশপাশে পোয়া বেশি পড়ছে। এলাকাগুলোর মধ্যে আছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমউদ্দিনসংলগ্ন চর, দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল ও হাজিপুর চর, তজুমদ্দিন উপজেলার চর রায়াহান, চরমোজাম্মেল, চর জহিরুদ্দিন এবং মনপুরা উপজেলার কলাতলী।
এই দুই দিনে দেখা যায় চর জহিরুদ্দিনের বিভিন্ন ঘাটে বর্ষার মতো সরগরম পরিবেশ। জেলেদের নৌকায় মিলছে ঝুড়ি ঝুড়ি পোয়া। সঙ্গে মিলছে কিছু ছোট ইলিশ ও দু-একটি পাঙাশ। মাছ বেশি থাকায় জেলেদের মনে বেশ আনন্দ। তাঁদের কয়েকজনের মুঠোফোনে বাজছিল গান। মাছ বেশি থাকার কারণে ঘাটসংলগ্ন বাজারেও ব্যস্ততা বেড়েছে। কুলি ও আড়তদারদের কমিশনও বেড়েছে।
এ সময়ে নদীতে প্রচুর ছোট সাদা পোয়া পাচ্ছেন জেলেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভূমিকম্প অনিশ্চিত, বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ভূমিকম্পের মতো অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে, তাই আতঙ্ক নয় বরং সতর্কতা ও প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের বাগবাড়ি চৌবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্লে গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, যা বিদ্যালয় পরিচালনায় বড় বাধা। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মামলা নিষ্পত্তি হলেই ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এরপর যেসব পদ শূন্য হবে, সেগুলোতে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’’
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, ‘‘শিক্ষক সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/কাওছার//