নেত্রকোণায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ জানান, রাত ১২টার দিকে কে বা কারা তার বাড়ির গেটের সামনে আগুন লাগিয়ে যায়। আগুনে ফটকের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক কার্ড মিটার পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভে যায়। 

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে ইলেকট্রনিক্সের দোকানে অগ্নিকাণ্ড

আলেকজান্ডার বাজারে আগুনে পুড়ল ১৫ দোকান

তিনি বলেন, “রাতে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ি ফিরে গেট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে জানতে পারি, সন্ত্রাসীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি গ্যাস লাইটার পাওয়া গেছে। আমার চাচাতো ভাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেখেছেন, একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আমার বাড়ির দিক থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ধারণা করছি, তারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।”

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এমন কাজ করে থাকতে পারে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, “আমার বিরোধীরা রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে এখন আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এমন ন্যক্কারজনক কাজ করছে। আমি আন্দোলনের রাজনীতিতে ভয় পাই না। যারা এ কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন অভ য গ র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবন ভ্রমণে নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

সুন্দরবনের ঢাংমারী নদীতে নৌযানডুবির ঘটনায় নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনির ঘোল এলাকার সাইলো জেটিসংলগ্ন পশুর ও শ্যালা নদীর মোহনা থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় রিয়ানার মরদেহ উদ্ধার করেন।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, উদ্ধারকৃত মরদেহটি চাঁদপাই নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত শনিবার দুপুরে সুন্দরবনের পশুর ও ঢাংমারী নদীর মোহনায় পর্যটকবাহী একটি জারিবোট (ফাইবার ট্রলার) উল্টে গেলে রিয়ানা আবজাল নিখোঁজ হন। ওই নৌযানে নারী-শিশুসহ মোট ১৩ জন পর্যটক ছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ সাঁতরে তীরে ওঠেন, কয়েকজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন। তবে রিয়ানাকে তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনসুন্দরবন ঘুরতে গিয়ে নদীতে নৌকা উল্টে নারী পর্যটক নিখোঁজ০৮ নভেম্বর ২০২৫

রিয়ানা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

বাংলাদেশে এসে পরিবারসহ সুন্দরবনের ঢাংমারী এলাকার ‘ম্যানগ্রোভ ভ্যালি’ নামের একটি ইকো-রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছিলেন রিয়ানা। গত শনিবার সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জারিবোটে করে সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে অন্য একটি হাইস্পিড বোটের ঢেউয়ের তোড়ে তাঁদের নৌযানটি উল্টে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ