কিছু মৌলিক বিষয় ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়েই একমত ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের জায়গায় এসে নিজেদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের এখন করণীয় হলো সবদিক বিবেচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া। সরকার হয়তো শেষ মুহূর্তে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে একান্তে আরেকবার কথা বলে দেখতে পারে। অহংবোধে ভোগা দলগুলো যদি শেষ পর্যন্ত সরকারের চূড়ান্ত ফয়সালা না মানে, তাহলে সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে ক্ষমতা অর্পণ করার প্রস্তাব দেওয়া।

আরও পড়ুনন্যূনতম ঐক্য না হলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে২ ঘণ্টা আগে

রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনায় না বসে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এটা নিছক পুরোনো ধাঁচের রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। দলগুলো যখন একান্তে মিলিত হয়, তখন একে অপরের প্রতি যথেষ্ট হৃদ‍্যতাপূর্ণ সহমর্মী আচরণ করে। কিন্তু যখন মিডিয়ার সামনে বা টক শোতে কথা বলে, তখন খোঁচা দিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এটা হলো মিডিয়ার আলোচনায় থাকার একটা অপকৌশল। মিডিয়াগুলোও এ ক্ষেত্রে নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সাইডলাইনের কথাগুলোকে মূল আলোচনায় নিয়ে আসে। এটা সমাজ ও রাজনীতির সামগ্রিক কদর্য রূপ, যা থেকে সবার মুক্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক।

আরও পড়ুনচালকের আসনে সরকার, সিদ্ধান্তও তাদের দিতে হবে৩ ঘণ্টা আগে

এখন বল যেহেতু সরকারের কোর্টে, সরকার যদি নিজেরা সিদ্ধান্ত দেয় এবং সেটি কোনো রাজনৈতিক দল মানল আবার কোনো দল মানল না; তাহলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে পড়তে পারে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তাসহ দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে শঙ্কার মধ্যে ফেলতে পারে। নির্বাচন শঙ্কার মধ্যে পড়লে কিন্তু সবার জন‍্যই বিপদ। তবে শেষ মুহূর্তে হলেও সবার মধ‍্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এমনটাই কাম্য।

মজিবুর রহমান মঞ্জু: চেয়ারম্যান, এবি পার্টি

আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় সরকার ৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র র জন ত দলগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ার সড়কে ৪ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) একই মালিকানাধীন চারটি কারখানার শ্রমিকরা। 

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২২ অক্টোবর হঠাৎ করেই গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার দাবিতে শ্রমিকরা ডিইপিজেডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় জলকামান দিয়ে পানিয়ে ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও তারা মহাসড়ক অবরোধ করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের সরাতে হয়।”

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, “সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস ও এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ। এ চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি কারখানার শ্রমিকদের আড়াই মাসের এবং অপর একটির দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলো চালুর চেষ্টা করছেন কারখানার কর্তৃপক্ষ। যদি তারা ব্যর্থ হন তবে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারি নিয়ম অনুসারে কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ