আবারও সামনে সেই পাকিস্তান। ২০১৯ এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস ফাইনালে (ইমার্জিং এশিয়া কাপ) এই পাকিস্তানের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল দুই দেশের অনূর্ধ্ব–২৩ দল।

আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেনরা পাকিস্তানের কাছে হেরে যান ৭৭ রানে। ৬ বছর পর সেই টুর্নামেন্টে আবার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এবার খেলছে দুই দেশের ‘এ’ দল। আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ‘এ’ দল শিরোপার লড়াইয়ে নামবে কাতারের দোহায়।

তবে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হতে আকবর আলীদের পথের কাঁটা হতে পারেন পাকিস্তান ওপেনার মাজ সাদাকত। এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২৩৫ রান করেছেন, গড় ২৩৫। ৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই নটআউট ছিলেন বলেই গড়টা ২৩৫। আউট হয়েছেন শুধু সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে। তা–ও ১১ বলে ২৩ রান করে। স্ট্রাইক রেট ১৮৫.

০৩।

গ্রুপ পর্বে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মানে চাপের মুখে রান করতে পারেন। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮টি ছক্কাও সাদাকাতেরই। ফাইনালে ৫ রান করলে বৈভব সূর্যবংশীকে ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসং গ্রাহক হবেন এই ক্রিকেটার। পরিসংখ্যান বলছে, একটু বাড়তি নজর সাদাকতের প্রাপ্য।

সাদাকতকে থামাতে বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকতে পারে পেসার রিপন মণ্ডলের দিকে। সেমিফাইনালে সুপার ওভারে ভারত ‘এ’ দলকে কোনো রান করতে না দেওয়া রিপন এই টুর্নামেন্টে ৮ উইকেট নিয়েছেন, যা আসর–সর্বোচ্চ। ফাইনালে সাদাকত আর রিপনের লড়াইটা তাই জমে ওঠার আশা করতে পারেন দর্শক।  

হংকংয়ের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশ এ দলের ওপেনার হাবিবুর রহমান

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স দ কত ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

আকবরদের বিপক্ষে সুপার ওভারে সূর্যবংশীকে কেন নামানো হয়নি

ওপেনিংয়ে নেমে করেন ১৫ বলে ৩৮ রান। তাতে ছিল চারটি ছক্কা ও দুটি চার। বৈভব সূর্যবংশীকে তবু সুপার ওভারে কেন নামানো হলো না?

দোহায় গতকাল এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কাছে সুপার ওভারে হেরেছে ভারত ‘এ’ দল। এরপর এ প্রশ্ন উঠেছে। ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক জিতেশ শর্মা এর জবাবে বলেছেন, সূর্যবংশীর সুপার ওভারে না নামানোটা তাঁর নিজের ও দলীয় সিদ্ধান্ত।

কাল আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাড়া করতে নেমে শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান দরকার ভারত ‘এ’ দলের। হার্শ দুবের শট লং অনে গেলেও সেখান থেকে দৌড়ে ২ রানের বেশি নেওয়া যেত না। নেহাল ওয়াধিরা ও হার্শ দৌড়ে দুটি রান নেনও।

কিন্তু মানসিক চাপের কারণেই সম্ভবত বোকামি করে বসেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। হার্শকে রানআউট করতে বল স্টাম্পে মারেন। কিন্তু বল স্টাম্পে তো লাগেইনি, ফিল্ডারও ছিলেন না কাছাকাছি। তাতে ভারতের দুই ব্যাটসম্যানই সুযোগ পেয়ে তৃতীয় রান নিয়ে নেন। অথচ আকবর বলটা হাতে রেখে দিলেও ১ রানে জিতত বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত ‘এ’ দল তৃতীয় রানটি নিয়ে নেওয়ায় ম্যাচ হয় টাই। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

ম্যাচসেরা হন রিপন মন্ডল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আকবরদের বিপক্ষে সুপার ওভারে সূর্যবংশীকে কেন নামানো হয়নি