খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক পদে ১০৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের সংস্থাপন শাখা থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৭৯১টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তির পর সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক পদে ৬ লাখ ১১ হাজার ৩৯৮টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা যায়, ১০২ জন প্রার্থী একই পদে একাধিকবার আবেদন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষাগত, ব্যক্তিগত বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন/বিকৃত করে তাঁরা একের অধিক আবেদন করেছেন। এ ছাড়া একজন আবেদনকারী অনলাইন আবেদনে ছবি ও স্বাক্ষর সংযুক্ত না করায় তাঁর আবেদনসহ ১০৩ প্রার্থীর ২৩৯টি আবেদন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরের পঞ্চম পর্যায়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু২২ নভেম্বর ২০২৫

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, একই পদে একই প্রার্থী একাধিকবার আবেদন করলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এই ধারার ভিত্তিতে ১০২ জনের মোট ২৩৮টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

*বাতিল করা প্রার্থীদের তালিকা ও বিস্তারিত দেখুন এই ঠিকানায়

খাদ্য অধিদপ্তরের পঞ্চম পর্যায়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তরের পঞ্চম পর্যায়ে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক (গ্রেড–১৫) পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা (এমসিকিউ পদ্ধতিতে) ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৮টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে উক্ত পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আবেদনকারী প্রার্থীরা ২২ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীদের আবশ্যিকভাবে প্রবেশপত্রের রঙিন কপি প্রিন্ট করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অন্য পদের পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী পরীক্ষার সময়সূচি খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুনঢাকার সাত কলেজ: বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর আগেই তীব্র সেশনজটে শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ত ল কর ড উনল ড পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভূমিকম্প অনিশ্চিত, বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই’ 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ভূমিকম্পের মতো অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে, তাই আতঙ্ক নয় বরং সতর্কতা ও প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের বাগবাড়ি চৌবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্লে গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, যা বিদ্যালয় পরিচালনায় বড় বাধা। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে  পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মামলা নিষ্পত্তি হলেই ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এরপর যেসব পদ শূন্য হবে, সেগুলোতে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’’

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, ‘‘শিক্ষক সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে।’’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

ঢাকা/কাওছার//

সম্পর্কিত নিবন্ধ