ঢাকার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং কার্টিন ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে। সম্প্রতি কার্টিন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়, যা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে।

কার্টিন ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও চিফ এক্সিকিউটিভ ভিনসেন্ট লি এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার আনোয়ারুল কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

অনুষ্ঠানে ভিনসেন্ট লি বলেন, এই সমঝোতা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে।

আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথ সাফল্যের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাব।’

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় যৌথ গবেষণা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা এবং বহুমাত্রিক জ্ঞান বিনিময়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও সামাজিক বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেখানে কার্টিনের খ্যাতনামা এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম অন্যতম। এ ছাড়া প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র ট ন ইউন ভ র স ট স ম রক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।

গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ