ডিআইজি-মেজর-সচিব পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৯
Published: 10th, October 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে অভিযান চালিয়ে হ্যাকিং চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫টি মোবাইল ফোন ও ৫টি অতিরিক্ত সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তারা পুলিশের ডিআইজি, সেনাবাহিনীর মেজর এবং সচিব পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বিলমাড়িয়া এবং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—লালপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মোসাব্বর হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০), বাবুল সরকারের ছেলে সোহাগ আলী (২৮), শাজাহান আলীর ছেলে ওবায়দুর আলী (২৪), ফজলুর রহমানের ছেলে রাসেল আহমেদ (২০), মোহরকয়া গ্রামের আজগর মন্ডলের ছেলে এখলাছ মন্ডল (২৩), জটু সরদারের ছেলে রুবেল সরদার (২৫), শরিফুল ইসলামের ছেলে মোহন আহমেদ (১৭), নাগশোষা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মারুফ হোসেন (২৩) এবং টুটুল আলী (১৬)।
পুলিশ সুপার বলেছেন, নাটোরের লালপুরে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোন, বিকাশ এবং ইমো হ্যাকার চক্র আছে। তারা অনেক দিন ধরে তৎপর। প্রতারক চক্রটি কখনো পুলিশের ডিআইজি, কখনো সেনাবাহিনীর মেজর এবং সচিব পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। গোয়েন্দা সংস্থা অনেক দিন যাবত তাদের আটক করতে কাজ করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
এক নারী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভিডিও বক্তব্য প্রচার করছেন এবং তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। অধ্যাপক আলী রীয়াজ ওই নারীকে চেনেন না জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, সরকার বিষয়টির দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে এবং এই মর্মে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয় বিবেচনা করবে।
আজ বুধবার ‘মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি’ শিরোনামে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা বলেছে। অতন্দ্রানু রিপা নামের ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, তিনি এ বক্তব্য প্রচারকারী নারীকে চেনেন না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্কের বিষয়ে যেসব দাবি করা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের মিথ্যা বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।’
এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যথায় এসব মানহানিকর, আপত্তিকর ও চরিত্র হননের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
ওই ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, তার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় আট মাস আলোচনা করে গত অক্টোবরে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশন গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিকল্প দুটি সুপারিশ জমা দেয়। তার ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার।