‘এআই টুলসের সঙ্গে আগে সেভাবে পরিচয় ছিল না। আজ হাতে-কলমে শিখলাম। খুঁটিনাটি জানলাম। এমন প্রশিক্ষণ আমাদের কাজে লাগবে।’

গুগলের উদ্যোগে এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইনফরমেশন ক্রেডিবিলিটি অ্যান্ড এআই লিটারেসি ট্রেনিং’-এ অংশগ্রহণ শেষে এমনটাই বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জয় প্রকাশ।

আজ রোববার আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীরা তথ্য যাচাই, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরির পাশাপাশি গুগলের আধুনিক এআই টুলস—নোটবুক এলএম, জেমিনি, পিনপয়েন্ট, গুগল ট্রেন্ডসসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

ক্যাম্পাসের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে পঞ্চম তলায় ৫০৩ নম্বর ক্লাসরুমে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কর্মশালা আয়োজিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রওশন আখতার। উদ্বোধনী অধিবেশনের সহপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের প্রভাষক মো.

আতীক উল্লাহ ও প্রথম আলোর কর্মকর্তারা।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবদুল কাবিল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম এবং প্রথম আলো ডিজিটাল বিজনেস বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার আ ফ ম খায়রুল বাশার।

কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন প্রথম আলো ডিজিটাল বিজনেস বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার আ ফ ম খায়রুল বাশার

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র গণয গ য গ ও স প রথম আল ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র সংসদ নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত, উপাচার্যের দপ্তরের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) হঠাৎ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার বিকেলে মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ সময়ে নির্বাচন কমিশন ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এদিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। একপর্যায়ে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটে তালা দেন। উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন।

এর আগে গতকাল রোববার থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আজ সকাল থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে ব্রাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহ জামান, কমিশনার মাসুদ রানা, আমির শরীফ, মো. হাসান আলী ও প্রদীপ কুমার সরকার, মহসিনা আহসান উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মহসিনা আহসান বলেন, ঘোষিত তফসিল কার্যকর করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর থেকে হল ভিত্তিক সঠিক, হালনাগাদ ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা পাওয়া অপরিহার্য। কে কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কে কোন হলের শিক্ষার্থী, কে ভর্তি বাতিল করেছে, কোন অপরাধের কারণে কোন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে এই সব নির্ভুল তথ্য অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করবে। এসব তথ্যের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দুঃখজনকভাবে, নির্বাচন কমিশন হলভিত্তিক ভোটার তালিকা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করার যে ভোটার তালিকা ও হল সংযুক্তি সম্পর্কিত নথিপত্র প্রদান করা হয়েছে, তাতে একাধিক গুরুতর অসংগতি, ভুল তথ্য এবং অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভুল ও অসংগতিপূর্ণ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, নির্বাচনী ন্যায়সংগতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিরুদ্ধে যাবে।

নির্বাচন কমিশনার মহসিনা আহসান বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করছে, হলভিত্তিক ভুল ভোটার তালিকা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এই তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ করলে প্রার্থীদের মধ্যে বৈধতা-সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হবে। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন না করে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেসব দপ্তর থেকে এই ভুল তথ্য সরবরাহ করে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই সব দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির শিক্ষার্থীদের কাছে কমিশনকে হেয় করার কোনো হীন উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন অনিবার্যভাবে জানাচ্ছে যে হলভিত্তিক ভোটার তালিকার অসংগতি দূর না হওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণসহ তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, কমিশন জরুরি ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার অফিসকে আহ্বান জানাচ্ছে, হলভিত্তিক ভোটার তালিকার সব ভুল, বাদ পড়া, দ্বৈততা এবং অসামঞ্জস্য দ্রুত সংশোধন করতে হবে। সংশোধিত ও যাচাইকৃত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের নিকট দ্রুত সরবরাহ করতে হবে যেন নির্বাচন কার্যক্রম কোনোরূপ বিলম্ব ছাড়াই পুনরায় শুরু করা যায়।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলী বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেজিস্ট্রার দপ্তর ভুল ভোটার তালিকা দিতে পারে না। আমি তাঁদের আজকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিব। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন অসংগতিগুলো আলোচনা করে সমাধান করতে পারত। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, কার্যক্রম চালিয়ে যেতে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ