কমেছে পাসের হার, অর্ধেকেরও কমে নেমেছে জিপিএ-৫
Published: 16th, October 2025 GMT
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার কমেছে পাসের হার। এছাড়া, গতবারের চেয়ে অর্ধেকেরও কম শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষা কেন্দ্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
এবার ঢাকা বোর্ডে ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
গত বছর ঢাকা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ শিক্ষর্থী পাস করেছিলেন।
এবার ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জান। এছাড়া, রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জনম, কুমিল্লা ২ হাজার ৭০৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন ও সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন।
গত বছর ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৪ হাজার ৯০২ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৭ হাজার ৯২২ জন, যশোর বোর্ডে ৯ হাজার ৭৪৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১০ হাজার ২৬৯ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ১৬৭ জন, সিলেট বোর্ডে ৬ হাজার ৬৯৮ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১৪ হাজার ২৯৫ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৪ হাজার ৮২৬ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৯ হাজার ৬১৩ জন এবং কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৯২২ জন।
এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুনে। গত ১৯ অগাস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২১ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন পুরুষ ও ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন নারী শিক্ষার্থী। গত বছর ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল ব র ড যশ র ব র ড ও সমম ন গত বছর পর ক ষ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বছরে উধাও ১৬ হাজার কোটি, আইপিএলের বাজারমূল্য কমছে কেন
বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল এখন এক অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে। টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমেছে আইপিএলের ব্র্যান্ডমূল্য।
২০২৩ সালে লিগটির মূল্য ধরা হয়েছিল ৯২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি, যা ২০২৪ সালে নেমে আসে ৮২ হাজার ৭০০ কোটিতে। ২০২৫ সালে তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ১০০ কোটি রুপিতে। অর্থাৎ দুই বছরে উধাও হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠের ক্রিকেট ঘিরে দর্শক আগ্রহ বাড়লেও দুটি প্রধান কারণে আইপিএলের ব্র্যান্ডমূল্য কমেছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইজরির ‘বিয়ন্ড ২২ ইয়ার্ডস—দ্য পাওয়ার অব প্ল্যাটফর্মস, দ্য প্রাইস অব রেগুলেশন: আইপিএল অ্যান্ড ডব্লিউপিএল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট ২০২৫’–এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কোনো ব্র্যান্ড বা ব্যবসার বাজারে সম্ভাব্য মূল্য, আয়, জনপ্রিয়তা ও ভবিষ্যৎ আয়ের ধারণার ওপর ভিত্তি করে ভ্যালুয়েশন বা আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইজরির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ ব্র্যান্ডমূল্য কমেছিল আইপিএলের। এবার কমেছে ৮ শতাংশ।
২০০৮ সালে শুরু হওয়ার পর প্রতিবছরই আগের বছরের তুলনায় আকারে বড় হয়েছে আইপিএল। এখন লিগটিতে খেলে থাকে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। একজন খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক দুই মাসের একটি আসরের জন্য ২৭ কোটি রুপি পর্যন্ত উঠেছে (২০২৫ আসরে ঋষভ পন্তের)। কিন্তু লিগের সার্বিক ব্র্যান্ডমূল্য কমার তথ্য দিচ্ছে উল্টো চিত্র।
আইপিএল নিয়ে দর্শক উন্মাদনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে