মিরপুর শের-ই-বাংলায় ৮৬ দিন পর ফিরছে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। লম্বা বিরতিতে উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে কাজ করা হয়েছে। বিসিবির টার্ফ ম‌্যানেজমেন্টের প্রধান টন হেমিং মূলত দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মাঠ নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। আউটফিল্ড ও উইকেট পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়েছেন। কতটুকু পেরেছেন সেই পরীক্ষাই হবে আগামীকাল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ‌্যকার প্রথম ওয়ানডেতে।

এই মাঠের উইকেট নিয়ে অতিথি দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের জুজু কাজ করে। অসংখ‌্যবার বাংলাদেশে এসে খেলা ড‌্যারেন স‌্যামিকেও নিশ্চিতভাবে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। এবার স‌্যামি কোচ হয়ে এসেছেন প্রথমবার। কোচ স‌্যামি প্রথমবার মিরপুরের উইকেট নিয়ে চরম বিস্ময় প্রকাশ করলেন, ‘‘এমন কিছু জীবনেও দেখিনি।’’

আরো পড়ুন:

লালবাগে হোপকে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করলেন মিরাজ

দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলে টেম্বা বাভুমা

মূলত উইকেটের কালো রঙ দেখেই এমন বিস্ময় স‌্যামির। যদিও বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সের উইকেট নিয়ে তেমন পর্যবেক্ষণ নেই, ‘‘আপনারা মিরপুরের উইকেটকে আমার চেয়ে ভালো চেনেন। আমি উইকেট দেখেছি, এটিকে একটি স্বাভাবিক মিরপুর উইকেটের মতো দেখাচ্ছে। তাই, এতে সাধারণত কিছুটা টার্ন থাকে, যা ভালো।’’

দুই দলই মাঠে অনুশীলনে নামার আগে উইকেট নিয়ে রীতিমত ‘গবেষণা’ করেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক চটের কাভার সরিয়ে উইকেট খুঁটিয়ে দেখেছেন। স‌্যামি গতকাল উইকেটের ছবি তুলেছিলেন মুঠোফোনে। আজও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। উইকেটের চেহারা প্রায় পুরোটাই কালো। কিছু জায়গায় একেবারে কালচে। তবে সূত্র মোতাবেক এবারের উইকেট আগের মতো হচ্ছে না। টনি হেমিং উইকেটে পরিবর্তন আনার চেষ্টায় ভিন্ন তরিকায় কাজ করেছেন। উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের মূল‌্যায়ন, ‘‘অধিনায়ক এখনও উইকেট দেখেনি, তবে আমি দেখেছি। জানি না, ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না… তবে এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। তবে আমরা সবাই জানি, উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জ কেমন, বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য। আমার মনে হয়, ভারত থেকে আসায় ছেলেদের এবার কিছুটা সুবিধা হবে। ছেলেরা এই ধরনের বা সবচেয়ে কাছাকাছি ধরনের কন্ডিশনে অভ্যস্ত হয়ে এসেছে।” 

মিরপুরের উইকেট নিয়ে বরাবরই ধাঁধায় থাকতে হয়। সামনে হেমিং যাদুতে কিছু পরিবর্তন হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে উইকেটের পরীক্ষায় যা-ই আসুক মানিয়ে নেওয়ার কথা বললেন অতিথি দলের অধিনায়ক শেই হোপ, ‘‘কোচের সঙ্গে যতটুকু আলোচনা হয়েছে, মনে হচ্ছে আমরা যেমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, এর চেয়ে ভিন্ন হবে উইকেট। ব্যাপারটি হলো, কত দ্রুত আমরা মানিয়ে নিতে পারি। বিদেশের কন্ডিশনে এরকম উইকেট যখন আমরা পাচ্ছি, মূল ব্যাপার হলো মানিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দ্রুত উইকেট পড়তে পারা এবং সেই অনুযায়ী খেলা।”

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উইক ট ন য় র র উইক ট উইক ট র এমন ক ছ ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ এক্সপো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে’

রাজধানীর বসুন্ধরা এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫’। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সাধারণ সম্পাদক স্থপতি প্রফেসর ড. এম. মাসুদ উর রশিদ।

এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেড এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম. এম. জসিম উদ্দিন, প্রদর্শনীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিকোয়া) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থপতি প্রফেসর ড. এম. মাসুদ উর রশিদ বলেন, “ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে। এই এক্সপো আর্কিটেকচারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। এক্সপোর নানা পণ্য তারা প্রফেশনাল জায়গায় কাজে লাগাতে পারছে। এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্কিটেক ডিজাইনারদের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা আরো ভালো করতে পারবে।”

তিনি আরো বলেন, “আয়োজক সংস্থার এটি দ্বিতীয় এক্সপো। প্রথম এক্সপোতেও আমি এসেছিলাম। এবারের এক্সপ্রোতে এসে যা দেখলাম তা প্রথমবারের চেয়েও বড় পরিসরে করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বেশি। নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে এই এক্সপোর গুরুত্ব রয়েছে বলেই ধারাবাহিকভাবে এর পরিসর বড় হচ্ছে। এবারের এক্সপোতে সাইন এইজ টেকনোলজি যোগ হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে নতুন আরো বিষয় যুক্ত করার মাধ্যমে নতুন আর্কিটেকচার উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিকোয়া) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া বলেন, “যত বেশি হবে এক্সপো হবে তত বেশি স্টেকহোল্ডারদের জন্য উপকার হবে। গ্রাহকদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণকারীরা সার্ভিস দিতে পারবে বলে  আশা করছি।”

উড টেক সলিউশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নইমুল হোসেন খান বলেন, “দ্বিতীয় ফার্নিটেক এক্সপো ২০২৫ উডওয়ার্কিং ও ফার্নিচার সেক্টরের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। গত ফেয়ারের ধারাবাহিকতায় এবারের প্রদর্শনী উদ্যোক্তা, প্রস্তুতকারক, আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হবে।”

এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের পরিচালক শেখ ফিরোজ আহমেদ আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলেন, “দীর্ঘ পরিশ্রমের পর এক্সপোটি আয়োজন করা হয়েছে। আমরা যখন প্রথম আয়োজন করেছিলাম তখন অনেকে বলেছিলেন এর পরিসর বড়াতে। চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা এবার পরিসর বড় করেছি। একইসঙ্গে নতুন টেকনোলজি যোগ করেছি। ভবিষ্যতে সকলের সহযোগিতায় আরো ভালো বড় পরিসরে এক্সপো করতে পারব বলে আশা করছি।”

তিনি বলেন, “এই মেলায় ইন্টেরিয়র টেকনোলজি, উড মেশিনারিজ ও মেটাল মেশিনারিজ ছাড়াও প্রথমবারের মতো ইন্টেরিয়র সেক্টরে ব্যবহারের জন্য তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রদর্শিত হচ্ছে, যা দেশের আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।”

আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানায়, ইন্টেরিয়র উপকরণ, ফার্নিচার সরঞ্জাম ও সাইনেজ প্রযুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে ৯টি দেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০০টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করছে। এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় এক ছাদের নিচে অনুষ্ঠিত হচ্ছে— দ্বিতীয় ইন্টেক এক্সপো ২০২৫, যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে কিচেন সলিউশন, ইন্টেরিয়র উপকরণ, সিরামিক, লাইটিং, ফার্নিচার, হোম অটোমেশন ও অন্যান্য লাইফস্টাইল পণ্য। এছাড়া দ্বিতীয় ফার্নিটেক এক্সপো ২০২৫, যা ফার্নিচার ফিটিংস, উড ও মেটাল টেকনোলজিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত, পৃষ্ঠপোষকতা করছে উড টেক সলিউশনস এবং মেটাল টেক সলিউশনস। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫, যা ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন ও বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি খাতের সর্বাধুনিক সমাধান উপস্থাপন করবে।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ পণ্য ও প্রযুক্তি যেমন- আধুনিক কিচেন সলিউশন, ফার্নিচার, ডোর, সফটওয়্যার, হোম অটোমেশন, স্মার্ট মিরর, কার্টেন, বোর্ড, ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেবা ইত্যাদি প্রদর্শন করছে।

ফার্নিচার শিল্পে কর্মরত উদ্যোক্তা, কারিগর, ডিজাইনার ও শিক্ষার্থীদের জন্যও থাকছে ফার্নিচার তৈরির আধুনিক সরঞ্জাম, টুলস এবং মেশিনারিজ প্রদর্শনের সুযোগ।

প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশ সবার জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি এবং দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ছাড় ও বিশেষ অফার।

ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিজ্ঞতায় সৌম‌্য দলে, মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের ভাবনা
  • সৌম্য, মাহিদুল কেন দলে
  • অন্তঃসত্ত্বা ক্যাটরিনার পাশে ভিকি, বললেন—‘বাইরে বেরোতে মন চায় না’
  • ‘ইন্টেরিয়র-ফার্নিচার-সাইনেজ এক্সপো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে’
  • গাজা ঘোষণাপত্র, টি-ডোম, স্যার ক্রিক অঞ্চল কী
  • এনসিএল শুরু ২৫ অক্টোবর, প্রথমবার অংশ নিচ্ছে ময়মনসিংহ
  • প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে লালন স্মরণোৎসব, মেলা শুরু শুক্রবার