মিরপুরের কালো উইকেট নিয়ে স্যামি, ‘এমন কিছু জীবনেও দেখিনি’
Published: 17th, October 2025 GMT
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ৮৬ দিন পর ফিরছে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। লম্বা বিরতিতে উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে কাজ করা হয়েছে। বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান টন হেমিং মূলত দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মাঠ নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। আউটফিল্ড ও উইকেট পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়েছেন। কতটুকু পেরেছেন সেই পরীক্ষাই হবে আগামীকাল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডেতে।
এই মাঠের উইকেট নিয়ে অতিথি দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের জুজু কাজ করে। অসংখ্যবার বাংলাদেশে এসে খেলা ড্যারেন স্যামিকেও নিশ্চিতভাবে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। এবার স্যামি কোচ হয়ে এসেছেন প্রথমবার। কোচ স্যামি প্রথমবার মিরপুরের উইকেট নিয়ে চরম বিস্ময় প্রকাশ করলেন, ‘‘এমন কিছু জীবনেও দেখিনি।’’
আরো পড়ুন:
লালবাগে হোপকে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করলেন মিরাজ
দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলে টেম্বা বাভুমা
মূলত উইকেটের কালো রঙ দেখেই এমন বিস্ময় স্যামির। যদিও বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সের উইকেট নিয়ে তেমন পর্যবেক্ষণ নেই, ‘‘আপনারা মিরপুরের উইকেটকে আমার চেয়ে ভালো চেনেন। আমি উইকেট দেখেছি, এটিকে একটি স্বাভাবিক মিরপুর উইকেটের মতো দেখাচ্ছে। তাই, এতে সাধারণত কিছুটা টার্ন থাকে, যা ভালো।’’
দুই দলই মাঠে অনুশীলনে নামার আগে উইকেট নিয়ে রীতিমত ‘গবেষণা’ করেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক চটের কাভার সরিয়ে উইকেট খুঁটিয়ে দেখেছেন। স্যামি গতকাল উইকেটের ছবি তুলেছিলেন মুঠোফোনে। আজও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। উইকেটের চেহারা প্রায় পুরোটাই কালো। কিছু জায়গায় একেবারে কালচে। তবে সূত্র মোতাবেক এবারের উইকেট আগের মতো হচ্ছে না। টনি হেমিং উইকেটে পরিবর্তন আনার চেষ্টায় ভিন্ন তরিকায় কাজ করেছেন। উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের মূল্যায়ন, ‘‘অধিনায়ক এখনও উইকেট দেখেনি, তবে আমি দেখেছি। জানি না, ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না… তবে এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। তবে আমরা সবাই জানি, উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জ কেমন, বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য। আমার মনে হয়, ভারত থেকে আসায় ছেলেদের এবার কিছুটা সুবিধা হবে। ছেলেরা এই ধরনের বা সবচেয়ে কাছাকাছি ধরনের কন্ডিশনে অভ্যস্ত হয়ে এসেছে।”
মিরপুরের উইকেট নিয়ে বরাবরই ধাঁধায় থাকতে হয়। সামনে হেমিং যাদুতে কিছু পরিবর্তন হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে উইকেটের পরীক্ষায় যা-ই আসুক মানিয়ে নেওয়ার কথা বললেন অতিথি দলের অধিনায়ক শেই হোপ, ‘‘কোচের সঙ্গে যতটুকু আলোচনা হয়েছে, মনে হচ্ছে আমরা যেমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, এর চেয়ে ভিন্ন হবে উইকেট। ব্যাপারটি হলো, কত দ্রুত আমরা মানিয়ে নিতে পারি। বিদেশের কন্ডিশনে এরকম উইকেট যখন আমরা পাচ্ছি, মূল ব্যাপার হলো মানিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দ্রুত উইকেট পড়তে পারা এবং সেই অনুযায়ী খেলা।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উইক ট ন য় র র উইক ট উইক ট র এমন ক ছ ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নিবাচন চাই: ইইউ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা এ নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথ সম্পর্কে ধারণা নতুন করে প্রতিষ্ঠার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মাইকেল মিলার।
গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মক ভোটিং পরিদর্শন করেছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের অগ্রিম প্রস্তুতি দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পেশাদারত্ব এবং সক্ষমতার প্রতি ইইউর আস্থা আছে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁদের আস্থার প্রতিফলন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি খুবই আশাবাদী। আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। আগে হয়তো অনেকে ভোট দেননি, কারণ হয়তো তাঁরা জানতেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বা সহিংসতার আশঙ্কা করেছিল। প্রায় পুরো একটি প্রজন্ম কখনো ভোট দেয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে, তাদের কী করতে হবে তা বুঝতে হবে। তিনি জানতে পেরেছেন যে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সময় বাড়াচ্ছে, এটি একটি প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, তিনি মনে করেন এ দেশের সব অংশীজনকে বহু বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সুযোগটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।