তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই মশাল প্রজ্বালন ও মিছিল করা হয়। এতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা হয়।

কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ, শামসুর রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির সাবেক সদস্যসচিব রহমত আলী বক্তব্য দেন।

শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ভারত গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে নদীর আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পানির আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল। ভারতের তিস্তার পানির রাজনীতির কারণে দেশের উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা সরাসারি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলের পদ্মা নদীও মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। কিন্তু ভারত এই নদীমাতৃক দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করছে।

আরও পড়ুনতিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে হাজারো মানুষের মশাল প্রজ্বালন১৬ অক্টোবর ২০২৫

বক্তারা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুরের পাঁচটি জেলার লাখো মানুষ মশাল জ্বালিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই মানুষের ভাষা বুঝতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শিগগির শুরু করতে হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের আগে নভেম্বর মাসের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবিতে গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মশাল প্রজ্বালন করে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে ওই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা জানান, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ ছাড়া রংপুরসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত ১০ উপজেলার ৩১টি স্থানে মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে আগামী নভেম্বরের মধ্যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবি জানান আসাদুল হাবিব।

আরও পড়ুনতিস্তা প্রকল্পে চীনা ঋণ নিতে চায় সরকার, চেয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ১৯ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা তিনু করিম। গত ২৪ নভেম্বর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অভিনেতার স্ত্রী হুমায়রা নওশিন।  

হুমায়রা নওশিন জানান, গত ৮ নভেম্বর বরিশালে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিনেতা তিনু। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় আনা হয়। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।  

আরো পড়ুন:

ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন প্রভা

বড়দা মিঠুর ‘দেনা–পাওনা’

৩ দিন আগে অভিনেতার শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হলে তাকে কেবিনে দেওয়া হয়। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রক্তচাপ ও সুগার লেভেল কমে গেলে জ্ঞান হারান এই অভিনেতা। তারপর প্রথমে আইসিইউ, এরপর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় বলে জানান হুমায়রা। 

তিনু ও হুমায়রা নওশিন দম্পতির ১১ বছর বয়সি একটা কন্যাসন্তান রয়েছেন। দোয়া চেয়ে হুমায়রা নওশিন বলেন, “আমার সন্তানের বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। যাতে সুস্থ হয়ে তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।” 

২০০১ সালে ‘সাক্ষর’ নাটক দিয়ে টিভি নাটকে অভিষেক তিনু করিমের। ২০১০ সালে ‘অপেক্ষা’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় নাম লেখান। তারপর ‘রাত জাগা ফুল’, ‘আলতা বানু’সহ অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ