শুরুতেই হাওয়ার্ড কান্ট্রি জেনারেল হসপিটালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু অ্যাঞ্জেলিনোর মন্তব্য ধরে এগোনো যাক। তিনি বলেছেন, ‘‘নারীরা সাধারণত ডিপ্রেশনে থাকলে কাঁদেন। অন্যদিকে পুরুষরা রাগ করের। কেননা আমরা সমাজ ছেলেদের শিখিয়েছে, কান্না করা যাবে না।’’

এই যে পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাহলে রাগলে তিনি কী করেন? অ্যান্ড্রু বলছেন, ‘‘পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাই কাঁদার বদলে তারা রেগে যান। রাগ প্রকাশে তারা বিভিন্ন আক্রমণাত্মক পদ্ধতিও প্রয়োগ করেন।’’

আরো পড়ুন:

আজ আন্তর্জাতিক ‘পুরুষ দিবস’

হার্মিস: ভাইয়ের গরু চুরি করে বীণা উপহার দিয়েছিলেন

কান্না মানুষের আবেগ প্রকাশের ভাষা। তাহলে পুরুষ কাঁদতে পারবেন না কেন? পরিসংখ্যান দেখা গে‌ছে যে নারীরা প্রতি মাসে পাঁচবার কাঁদেন। আর পুরু‌ষেরা কাঁদের একবার, তাও লুকিয়ে কাঁদেন। তাদের কান্নাকে মোটেও ভালোভাবে নেওয়া হয় না। এই পার্থক্যটা সামা‌জিক ও লৈ‌ঙ্গিক কার‌ণে হয়ে থাকে।

আমাদের সমাজের পুরুষেরা পরিবারের বাড়তি প্রত্যাশার চাপ বহন করতে করতে কখন ক্লান্ত হয়ে পড়েন— আমরা অনেক সময় বুঝতেও পারি না। অথচ তারা বাড়তি প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে হতাশায় ডুবে যান। অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থেকে পুরুষ বিরক্ত প্রকাশ, হঠাৎ রেগে যাওয়া, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো কাজগুলো করে থাকেন। অনেক সময় অতিরিক্ত ঝুঁকিগ্রহণ করার মাধ্যমেও মেল ডিপ্রেশনের প্রকাশ করেন তারা। 

মনোবিদরা বলেন, ‘‘পুরুষদের ডিপ্রেশন বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে’’।

এদিকে পুরুষদের মধ্যে মানসিক সুস্থতা নিয়ে সচেতনতাও বেশ কম। তাদের কাছে আবেগ প্রকাশ মানেই সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে ছোট হয়ে যাওয়া। পুরুষদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠা উচিত। নিজের আবেগ প্রকাশে ট্যাবু থেকে বের হওয়া উচিত।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

‎‘হামজা সত্যিকারের নেতা’, জাদুকরি পাসটা অনেক দিন মনে থাকবে রাকিবের

‎বাঁ প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ছুটছেন রাকিব হোসেন। তাঁকে আটকাতে মরিয়া ভারতের তিন ফুটবলার। কিন্তু পারলেন না। বক্সের পাশ থেকে তাঁর নিখুঁত পাস, ডান দিক থেকে দৌড়ে আসা শেখ মোরছালিন বলটা জালে ঠেলে দিয়েই রাকিবকে নিয়ে উদ্‌যাপন মাতলেন। ততক্ষণে ২২ হাজার দর্শকের চিৎকারে প্রকম্পিত পুরো জাতীয় স্টেডিয়াম।

গতকাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে হারানো সেই গোলের মুহূর্তটা চাইলেও ভুলতে পারবেন না রাকিব। কারণ, এটা তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পাস।‎

২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক রাকিবের। এর পর থেকে বহু জয়ের সাক্ষী হয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে ৪৯ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। পাশাপাশি ৫ গোলে সহায়তা।

‎কিন্তু গতকাল ভারতের বিপক্ষে যে গোল বানিয়ে দিয়েছেন সেটার গুরুত্ব তাঁর কাছে অনেক, ‘এই পাসটা আমার অনেক দিন মনে থাকবে। একটা গোল করার পর যতটা না ভালো লাগে, কাল ঠিক ততটাই খুশি লেগেছে।’

গোলের পর মোরছালিনের সঙ্গে উদ্‌যাপন রাকিবের

সম্পর্কিত নিবন্ধ