রায় ঘিরে কোনো অস্থিরতা নেই, বিজয় দিবসেও শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 19th, November 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিজয় দিবস উপলক্ষেও কোনো শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরেও কোনো রকম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসে কোনো অস্থিরতার সম্ভাবনা নেই।”
বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে যেভাবে সব কর্মসূচি হয়েছে, এবারও সেভাবে হবে। বরং আরো বেশি হবে। তবে গতবারের ন্যায় এবারও প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না।”
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া গতকাল রাতে ডিবি পরিচয়ে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে পরে ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “এ বিষয়টা আমি প্রথম শুনলাম। অনুসন্ধান করার পর হয়তো আমি বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।”
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে গোপন করায় নারীর সাজা, কাজির কারাদণ্ডের সঙ্গে লাইসেন্সও বাতিল
আগের বিয়ে গোপন করায় দ্বিতীয় স্বামীর করা মামলায় এক বছর কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে এক নারীর। ওই বিয়ের কাজিকে দেওয়া হয়েছে দুই বছর কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে তাঁর লাইসেন্স বাতিলের রায় দিয়েছেন আদালত।
জাহিদ হাসান নামের এক কম্পিউটার প্রকৌশলীর করা প্রতারণার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন—জাহিদের স্ত্রী মোছা. নুসরাত জাহান তাসনিম ওরফে মোছা. তাসমিন নাহার (২৬) এবং কাজী আবু মুসা আহম্মদ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার আনিসুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার পর নুসরাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। আবু মুসা পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁর নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় মো. আমিনুল ইসলাম নামে আরেক আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রংপুরের বাসিন্দা জাহিদ ২০২০ সালে ঢাকার আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। তার তিন বছর আগে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে নুসরাতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
মামলায় জাহিদ অভিযোগ করেন, বিয়ের সময় নুসরাতকে অবিবাহিত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে নুসরাত তাঁর ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি নুসরাত তাঁর সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। এই বিষয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ ঘরোয়া সালিসি আয়োজন করা হয়। তখন তাঁর কাছে দেনমোহর বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন যে নুসরাত তাঁর আগের বিয়ে গোপন রেখে তাঁকে বিয়ে করেন।