এমআইএসটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, শর্তে থাকছে দ্বিতীয়বারের সুযোগ
Published: 18th, October 2025 GMT
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এমআইএসটিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২ নভেম্বর থেকে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে এবারও থাকছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ শতাংশ নম্বর কাটা যাবে আবেদনকারী প্রার্থীর। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৮ নভেম্বর, আবেদন ২৯ অক্টোবর থেকে১৩ অক্টোবর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা২০২২ ও ২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ-৪ (জিপিএ–৫ স্কেলে) পেতে হবে। আর ২০২৪ ও ২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে ১৮ পয়েন্ট থাকতে হবে। গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে এইচএসসি ও সমমানের জিপিএ-৪ করে পেতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা কত নম্বরের‘এ’ ইউনিটের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচারে গণিতে ৮০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৬০, রসায়নে ৪০ ও ইংরেজিতে ২০–সহ মোট ২০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষা ৩ ঘণ্টার। এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাসে হবে পরীক্ষা।
‘বি’ ইউনিটের আর্কিটেকচারে অঙ্কন ও আর্কিটেকচার সম্পৃক্ত বিষয়ে ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা ২ ঘণ্টা।
আরও পড়ুনমেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর, মানবিক গুনাবলী যাছাইয়ে আসবে প্রশ্ন০৭ অক্টোবর ২০২৫আবেদন ফি‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১২০০ টাকা । আর আর্কিটেকচারের ‘বি’ ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৪০০ টাকা।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কবে, জানাল কর্তৃপক্ষ০৬ অক্টোবর ২০২৫আবেদন শেষ কবেআগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা১৫ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ র ভর ত
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসিতে গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমেছে ১৯ শতাংশ
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিক এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এবার পাসের হারে সব চেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১। অন্য বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা রোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬, রাজশাহীতে ৫৯ দশমিক ৪০, যশোর ৫০ দশমিক ২০, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭, বরিশালে ৬২ দশমিক ৫৭, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৬২ দশমিক ৬৭।
আরও পড়ুনএইচএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন৩ ঘণ্টা আগেএদিকে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবার জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
শিক্ষার্থীরা ফলাফল দেখবেন যেভাবে
১.
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট (Result) কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN–এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।
২.
পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩.
নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।
উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৬ জুন। লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।