চরফ্যাশনে শিশুদের মক্তব ঘর দখল করে বিএনপি কার্যালয়
Published: 19th, October 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শিশুদের মক্তব দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামে ওই মক্তব ঘরের অবস্থান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আমিনপুর গ্রামে বাজারের কাছে কাকরাইল জামে মসজিদসংলগ্ন একটি মক্তব ঘর আছে। এটি প্রায় ১০ বছর আগে ইউএনডিপি ও মুসলিম এইডের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকেই মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য ঘরটি মক্তব ঘর হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। মাঝেমধ্যে দিনের বেলা সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই মক্তব ঘরে সভা করতেন।
গত বছর আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা সোহরাব রাঢ়ী, বনি আমিন দালাল, জাকির রাঢ়ী, জাকির হাওলাদার, বাবুল মুন্সী, ইসমাইল সিকদার ও তাঁদের সহযোগীরা ঘরটি দখল করে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘ঘরটি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছুদিন আগে কয়েকজন এসে ঘরটি দখল করে নেন। এখন আমরা বাধ্য হয়ে মসজিদের ভেতরে সকালে মক্তবের পাঠদান চালাচ্ছি। আমরা চাই, ঘরটি পুনরায় শিশুদের কুরআন শিক্ষার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি একটি সরকারি ঘর ও ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র ছিল। রাজনৈতিক স্বার্থে এমন জায়গা দখল করা অনৈতিক ও ধর্মীয় অবমাননার শামিল।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বশির আহম্মেদ বলেন, বিগত কয়েক বছর ঘরটি আওয়ামী লীগ দখলে রেখেছিল। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিলে সেটি পরিষ্কার করে রাজনৈতিক অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন। ঘরটি তাঁরা দখল করেননি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের ঘরটি ছেড়ে দিতে বলেছেন। ‘ওরা এখন আর বসে না। তবে কয়েকটি চেয়ার আর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি রয়ে গেছে। আশা করি, সেগুলো সরিয়ে আবার মক্তব চালু হবে।’
চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক মসজ দ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের বরাদ্দ কমানোর পদক্ষেপের মধ্যেও রেকর্ড আয় যেভাবে করল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষা নিয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্য অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল কমানো। তহবিল কমানো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি তর্ক-বিতর্ক হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের গবেষণা তহবিলে বরাদ্দ কমানোর পদক্ষেপের মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির তহবিল প্রায় ৪০০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ শাখা হার্ভার্ড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এইচএমসি) গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে (৩০ জুন পর্যন্ত) ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বিনিয়োগ রিটার্ন অর্জন করেছে। বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রিটার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৪ অর্থবছরে হার্ভার্ডের তহবিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ রিটার্ন পেয়ে মোট ৫৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
আরও পড়ুনজাপানে মেক্সট স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা, জিপিএ ২.৩০ হলে আবেদন ৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে। অনুদান হিসেবে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ট্রাম্প প্রশাসনের বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্তের পরই অনুদান বেড়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
হার্ভার্ড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এন পি নারভেকার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের ৪১ শতাংশ প্রাইভেট ইকুইটিতে, ৩১ শতাংশ হেজ ফান্ডে এবং ১৪ শতাংশ পাবলিক ইকুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বছরের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।
হার্ভার্ডের মতো আইভি লিগ স্কুলগুলোর আয়ের ওপর কড়া নজর রাখার কারণে হেজ ফান্ড এবং প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ব্যবহারের পথিকৃৎ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এগুলো আরও বেশি তদন্তের আওতায় রয়েছে।
হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার ট্রাম্পের নাম না করেই এক বার্তায় লিখেছেন, ‘আমরা অনিশ্চয়তা ও রাজস্বের উৎসের হুমকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে চলছি।’
আরও পড়ুনইউএনডিপিতে ইন্টার্নশিপ, যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ১৮ অক্টোবর ২০২৫মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও যুদ্ধের সময় হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধিতাকে (অ্যান্টিসেমিটিজম) উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলেন, এটি আসলে ট্রাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তথাকথিত বামপন্থী পক্ষপাতিত্ব দমন করার একটি অজুহাতমাত্র। এরপরে তহবিল বন্ধ হয় নানা উদ্যোগ নেয় ট্রাম্প। বিষয়টি এখন আদালতে গড়িয়েছে। ফেডারেল সরকারের গবেষণা তহবিল হ্রাস এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সীমিত করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে লড়ছে।
আরও পড়ুন৩ ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ১৪টি ভাষা শিক্ষার কোর্স, আবেদন এইচএসসি পাসে২০ ঘণ্টা আগে