প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে নেতৃত্ব গ্রহণ করে দেশকে একটি উদ্যোক্তাবান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করবে। নানা দুর্বলতা উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ গঠনে বাধা সৃষ্টি করলেও ভবিষ্যতে তরুণরাই এ পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।”

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগে ড্যাফোডিল প্লাজায় আয়োজিত গ্লোবাল এন্টারপ্রেনরশিপ উইক-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

পাবনায় আন্তর্জাতিকমানের সাইকিয়াট্রিক ইনস্টিটিউট গড়ে উঠবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

পঞ্চগড়ে দুদকের গণশুনানিতে প্রাথমিকের ২ প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত 

উপদেষ্টা বলেন, “শিশুর ব্যক্তিগত সক্ষমতা বিকাশের পাশাপাশি তাকে সমাজের একজন দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য।”

ব্যক্তিকেন্দ্রিক মনোভাব সমাজবিরোধী আচরণে রূপ নিতে পারে- এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “সৃজনশীলতা, যুক্তিশীলতা ও নৈতিকতা একইসঙ্গে লালন করতে না পারলে প্রতিভাবান ব্যক্তি তৈরি হলেও একটি ভালো সমাজ তৈরি করা সম্ভব হবে না।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত উন্নয়ন ছাড়া উদ্যোক্তা মানসিকতা বিকাশ সম্ভব নয়। প্রাথমিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো সাবলীলভাবে পড়া বোঝা, লেখা এবং মৌলিক গণিত দক্ষতা অর্জন। এই ভিত্তি দুর্বল থাকলে উচ্চশিক্ষায় এবং জীবনব্যাপী শেখায় ঝুঁকি থেকে যায়।”

উদ্যোক্তা মানসিকতা গঠনের বিষয়ে উপদেষ্টা আরো বলেন, “শৈশবেই সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি এবং সামাজিক উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে হবে। সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা, বিতর্কসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শিশুর উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড.

মো. সবুর খান, বাংলাদেশ মহিলা উদ্যোক্তা ফেডারেশনের সভাপতি ড. রুবিনা হোসাইন, ইউএনডিপির ন্যাশনাল কনসালটেন্ট পলিসি ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট সাইফুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. কে এম হাসান।

এ সময় উপদেষ্টা ড্যাফোডিলের তিন শিক্ষার্থীকে ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার দেন। পরে তিনি ড্যাফোডিল রোবোটিক্স অ্যান্ড এআই সেন্টার পরিদর্শন করেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ য ক ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশ একাডেমির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়ানো, অপরাধী হস্তান্তর, সেফ সিটি নির্মাণসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি পাকিস্তান সফর করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সিনিয়র সচিব পা‍কিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তাদের “সেফ সিটি” প্রকল্প আমাদের দেশেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দুই দেশের অপরাধীদের পারস্পরিক বিনিময় বা হস্তান্তরে বর্তমানে কোনো আইনি কাঠামো নেই। ২০০৪ সালে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা কার্যকর করা হয়নি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

হাইকমিশনার এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সাঁজোয়া নিরাপত্তা যানবাহন, ড্রোন সংগ্রহ ও ক্রয় এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে পাকিস্তান সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান, পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ