প্রথম আলোর কাছে মানুষ সঠিক তথ্য জানতে চায়
Published: 18th, November 2025 GMT
শিক্ষিত সমাজ গঠনের কাজ করে যাচ্ছে প্রথম আলো। এ গণমাধ্যমের কাছে দেশের মানুষ সঠিক তথ্য জানতে চান। তাই চলামান রাজনীতির ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে সঠিক চিত্র যেন প্রথম আলোতে উঠে আসে। এটা পাঠকদের প্রথম চাওয়া।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জে প্রথম আলো আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পত্রিকাটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ সমাবেশে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা প্রথম আলোর কাছে নানা ধরনের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা সভাপতি পীযূষ চক্রবর্তী বলেন, ‘দেশের সরকারগুলো যখনই স্বৈরশাসক ও অগণতান্ত্রিক রূপ ধারণ করে, এ সময় ওই অগণতান্ত্রিক সরকারে বিপরীতে অবস্থান নিয়ে প্রথম আলোকে জনগণের পাশে আমরা দেখতে চাই। দেশের যেকোনো সংকটে প্রথম আলোকে সমাজের দর্পণ হিসেবেই কাজ করতে হবে।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদ সমাবেশে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে। এর সঠিক তথ্য যেন উঠে আসে প্রথম আলোতে। এ গণমাধ্যমের কাছে এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তাঁরা যেন দেশের সঠিক চিত্রই তুলে ধরেন জাতির কাছে।’
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহান আরা খাতুন বলেন, ‘প্রথম আলোর পাঠক শুধু সংবাদের পাঠকই নয়, এ পত্রিকার বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন ও সাহিত্য পাতা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই মফস্সলের লেখকদের যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
প্রথম আলোকে আরও সাহসী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদা নাজমীন বলেন, ‘প্রথম আলো সমাজ গঠনে কাজ করে। তাই এ জাতির অনেক প্রত্যাশা এ পত্রিকার কাছে। তবে প্রথম আলোকে আগের চেয়ে আরও সাহসী হয়ে উঠতে হবে।’
পরিবেশবাদী নেতা তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘প্রথম আলোতে পরিবেশ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ছাপা হয়। তবে এ বিষয়ের ওপর আলাদা পাতা করলে দেশের মানুষ সচেতন হবেন।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক প রথম আল র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//