কম দামে দুশ্চিন্তায় মানিকগঞ্জের পানচাষিরা
Published: 19th, October 2025 GMT
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পানচাষে বিখ্যাত। এক সময় এ অঞ্চলের উৎপাদিত পান দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হতো। সম্প্রতি বন্ধ রয়েছে রপ্তানি। চাষিদের ভাষ্য, ভালো ফলন হওয়া সত্ত্বেও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
হরিরামপুরের মানিকনগর, কৃত্তিপুর, গারুটিয়া ও ধুলিশ্বর গ্রামের মাঠজুড়ে একসময় ছিল অসংখ্য পানবরজ। এখন ৩০টির মতো বরজ আছে। সকালের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা বরজে যান, কাজ শুরু করেন। কেউ পান পাতা তোলেন, কেউ গাছের গোড়ায় পানি দেন, কেউ আগাছা পরিষ্কার করেন। তবে, তাদের মুখে নেই তৃপ্তির হাসি। সার, কীটনাশক, বাঁশ, পাটখড়ির দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় পান উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি বাজারে কমেছে পানের দাম। যে কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা।
আরো পড়ুন:
আটপাড়ায় নদীতে গোসল করতে নেমে কৃষক নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার সাইফুল মাশরুম চাষে সফল, দিয়েছেন ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ
মানিকনগর গ্রামের কৃষক লতিফ মিয়া বলেন, “একটা পান বরজের খরচ এখন আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি। আগে শ্রমিকের মজুরি ছিল ৬০০–৭০০ টাকা, এখন দিতে হয় ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা। বাঁশ, পাটখড়ি, সার সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাজারে দাম না থাকায় বরজে থাকা পানের অর্ধেকই তোলা হয় না।”
মো.
পানচাষে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ চাষি আলম মিয়া বলেন, “হরিরামপুর একসময় ‘পানের রাজ্য’ নামে পরিচিত ছিল। এখানকার সাঁচি ও গয়াচি দুইটি জাতের পানের সুনাম ছিল দেশজুড়ে। বিশেষ করে সাঁচি পানের রপ্তানি থেকে চাষিরা লাভবান হতেন। রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই বাজার হারিয়ে গেছে। আগে ১০০ পাতা পান বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, এখন তা নেমে এসেছে ৪০–৫০ টাকায়। ফলে, অনেকে নতুন মৌসুমে আর পান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আমরা যদি সহায়তা না পাই, আগামী কয়েক বছরে হরিরামপুরে পানচাষ থাকবে না। বরজ চালানো এখন লোকসানের কাজ।”
নিজের পানের বরজে কাজ করছেন এক কৃষক
বংশপরম্পরায় পানচাষ করছেন লতিফ মিয়ার পরিবার। দাদা-বাবা সবাই এই বরজে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এটা শুধু চাষ নয়, জীবনযাপন। এখন যদি পানের দাম না পাই, তাহলে এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।”
মানিকগঞ্জ কৃষি উন্নয়ন কমিটির সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম বলেন, “পান চাষিদের চোখে ভর করছে অনিশ্চয়তার ছায়া। সরকারি সহায়তা আর ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা না এলে, হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে মানিকগঞ্জের ‘পানের রাজ্য’ হরিরামপুর’।”
হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, “বর্তমানে প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে ৩০টির মতো পানবরজ আছে। সাঁচি পানের রপ্তানি বন্ধ থাকায় এখন গয়াচি জাতের পান বেশি চাষ হচ্ছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।”
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পরীক্ষা ২৭ মার্চ ২০০৬, শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদন শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে। আর পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ২৭ মার্চ। জিএসটি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, শিক্ষার্থীরা আবেদন করার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন। ভর্তি আবেদন ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু, পরীক্ষা আবেদন শেষে ১৪ দিনের মাথায়২২ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনকুয়েট ভর্তি পরীক্ষা: জেনে নিন ১০৬৫ আসনের খুটিনাটি০২ ডিসেম্বর ২০২৫ভর্তি আবেদনের তারিখ
*১০–১২–২০২৫ থেকে ২৪–১২–২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।
পরীক্ষার সময়সূচি
–ইউনিট C (বাণিজ্য): ২৭–০৩–২০২৬ (শুক্রবার)। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
–ইউনিট B (মানবিক): ৩–০৪–২০২৬ (শুক্রবার), বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
-ইউনিট A (বিজ্ঞান): ১০–০৪–২০২৬ (শুক্রবার), বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
-আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা: ১০/০৪/২০২৬ (শুক্রবার), বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।