বন্দরে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে রাস্তায় উক্তাক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করার জের ধরে বখাটে সন্ত্রাসীদের হাতুড়িপেটা একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতরা হলো স্কুল ছাত্রী উর্মি (১৫) তার মা নাজনিন বেগম (২৮) পিতা বিল্লাল হোসেন (৩৬) ও উকিল মেয়ে তিশা (১৮)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায়  ভূক্তভোগী স্কুল ছাত্রী মা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই সন্ধ্যায়  হামলাকারি বখাটে রাজু, শাহজালাল, সোহাগ ও সুলতানা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দাস্থ বিবাদীদের বসত সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে এ হাতুড় পেটা করার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানার উপ পরিদর্শক মোতালেব ভূঁইয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত মিলন মৃধা ২ ছেলে বিবাদী রাজু ও শাহাজালাল অভিযোগের বাদিনী নাজনিন বেগমের প্রতিবেশী।

বিবাদী রাজু  ও তার বড় ভাই শাহাজালাল  খারাপ চরিত্রের লোক এবং সন্ত্রাসী, অবৈধ/চোরা মালের ব্যবসায়ী।

উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় বাদিনী বড় মেয়ে উর্মি (১৫)কে দীর্ঘ দিন ধরে উক্তাক্ত করে আসছিল। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় অভিযোগের বাদিনী ও তার স্বামী ও তাদের  মেয়ে  উর্মি ও উকিল মেয়ে তিশাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীর পাশে রাস্তায় দাঁড়ালে ওই সময় ১নং বিবাদী রাজু বাদিনী মেয়ে উর্মিকে দেখতে পেয়ে  অশ্লীন  মন্তব্য  করে।

এ ঘটনায়  বাদিনী ও তার স্বামী, প্রতিবাদ করলে ওই সময় বখাটে রাজু ও তার বড় ভাই শাহাজালাল তাদের বোন সুলতানা বেগম ও একই এলাকার সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের বাদিনী ও তার স্বামীকে  অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বিবাদীদের হাতে থাকা কাঠের ডাঁসা, স্টিলের পাইপ দিয়ে বাদিনী তার স্বামী মেয়ে ও তার উকিল মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নীলা, ফুলা, রক্তা জমাটবাধা জখম করে। বখাটে রাজুর হাতে থাকা হাতুড়ী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ও আমার স্বামী বিল্লালকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ছাড়াও সন্ত্রাসী রাজু,  শাহজালাল, সোহাগ ও সুলতানা বেগম বাদিনীর মেয়ে ও তার উকিল মেয়েকে জামা কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীতাহানি করে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনা শেষে স্থানীয় লোকের সহায়তায় আহত ৪ জনেকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বখাটেদের হাতুড়ি পেটায় একই পরিবারের ৩জনসহ আহত ৪ 

বন্দরে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে রাস্তায় উক্তাক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করার জের ধরে বখাটে সন্ত্রাসীদের হাতুড়িপেটা একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতরা হলো স্কুল ছাত্রী উর্মি (১৫) তার মা নাজনিন বেগম (২৮) পিতা বিল্লাল হোসেন (৩৬) ও উকিল মেয়ে তিশা (১৮)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায়  ভূক্তভোগী স্কুল ছাত্রী মা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই সন্ধ্যায়  হামলাকারি বখাটে রাজু, শাহজালাল, সোহাগ ও সুলতানা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দাস্থ বিবাদীদের বসত সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে এ হাতুড় পেটা করার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানার উপ পরিদর্শক মোতালেব ভূঁইয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত মিলন মৃধা ২ ছেলে বিবাদী রাজু ও শাহাজালাল অভিযোগের বাদিনী নাজনিন বেগমের প্রতিবেশী।

বিবাদী রাজু  ও তার বড় ভাই শাহাজালাল  খারাপ চরিত্রের লোক এবং সন্ত্রাসী, অবৈধ/চোরা মালের ব্যবসায়ী।

উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় বাদিনী বড় মেয়ে উর্মি (১৫)কে দীর্ঘ দিন ধরে উক্তাক্ত করে আসছিল। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় অভিযোগের বাদিনী ও তার স্বামী ও তাদের  মেয়ে  উর্মি ও উকিল মেয়ে তিশাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীর পাশে রাস্তায় দাঁড়ালে ওই সময় ১নং বিবাদী রাজু বাদিনী মেয়ে উর্মিকে দেখতে পেয়ে  অশ্লীন  মন্তব্য  করে।

এ ঘটনায়  বাদিনী ও তার স্বামী, প্রতিবাদ করলে ওই সময় বখাটে রাজু ও তার বড় ভাই শাহাজালাল তাদের বোন সুলতানা বেগম ও একই এলাকার সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের বাদিনী ও তার স্বামীকে  অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বিবাদীদের হাতে থাকা কাঠের ডাঁসা, স্টিলের পাইপ দিয়ে বাদিনী তার স্বামী মেয়ে ও তার উকিল মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নীলা, ফুলা, রক্তা জমাটবাধা জখম করে। বখাটে রাজুর হাতে থাকা হাতুড়ী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ও আমার স্বামী বিল্লালকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ছাড়াও সন্ত্রাসী রাজু,  শাহজালাল, সোহাগ ও সুলতানা বেগম বাদিনীর মেয়ে ও তার উকিল মেয়েকে জামা কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীতাহানি করে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনা শেষে স্থানীয় লোকের সহায়তায় আহত ৪ জনেকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ