পাকিস্তানের আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের পরিবর্তে খেলবে জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে। আগামী ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজ, যে সিরিজে তৃতীয় দল হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা।

গতকাল আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের আরগুন জেলায় বিমান হামলায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছেন কবির, সিবঘাতুল্লাহ, হারুন নামের তিন স্থানীয় ক্রিকেটার। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে না খেলার ঘোষণা দেয় আফগানিস্তান।

আরও পড়ুন২২৩ দিন পর ভারতের জার্সিতে ফিরে ০ রানে আউট কোহলি৫২ মিনিট আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া বিবৃতিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পাকতিকা প্রদেশের আরগুন জেলার সাহসী ক্রিকেটারদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছে, যাঁরা সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার শিকার হয়েছেন। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় আরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার—কবির, সিবঘাতুল্লাহ, হারুনসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাতজন। মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রতিবাদে ও নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও জানিয়েছে, সিরিজ নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট পিসিবির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। সিরিজে পাকিস্তানের পাশাপাশি খেলবে শ্রীলঙ্কাও। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে।’

পিসিবি ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচিও দিয়েছে। সূচি অনুযায়ী, রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে। দুই দিন পর একই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামবে তারা। অন্য সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুনঘণ্টায় ১০০ মাইল—শোয়েব আখতারের রেকর্ড গড়া সেই দ্রুততম বলের গল্প৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আসন ন ত র দ শ য় আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থসংকটে জাতিসংঘ, দেশে ফিরবেন ১৩১৩ শান্তিরক্ষী

জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের তহবিলসংকটের কারণে আগামী ৯ মাসের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৩১৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে ফেরত পাঠানো হবে। আর্থিক সংকটের ফলে ১৫ শতাংশ বাজেট ছাড়ের আওতায় আপত্কালীন পরিকল্পনা হিসেবে পাঁচটি মিশন থেকে বাংলাদেশের এসব শান্তিরক্ষীকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ