তিন বছর পর কীর্তনখোলার বুকে ফিরল প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ
Published: 28th, November 2025 GMT
তিন বছরের বেশি বিরতির পর আবার কীর্তনখোলা নদীর বুক ছুঁয়ে যাত্রী নিয়ে বরিশালে ভিড়ল ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টিমারটি বরিশালে নোঙর করে। পুরোনো স্টিমারঘাটের পুনর্নির্মাণকাজ চলমান থাকায় নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় অবস্থিত বিকল্প ঘাটে নোঙর ফেলতে হয় স্টিমারটিকে।
পি এস মাহসুদের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে বিকেল থেকেই ত্রিশ গুদাম এলাকায় জমতে থাকে উৎসুক মানুষের ভিড়। সবারই অধীর অপেক্ষা—কখন কীর্তনখোলার জলে প্যাডেলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে নতুনরূপে ফিরবে সেই চিরচেনা স্টিমার; উত্তরের হাওয়ায় ভেসে আসবে পুরোনো হুঁইশেলের ডাক।
এ এক ভিন্ন অনুভূতি—ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নদীর রূপ-লাবণ্য, নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকাসংক্রান্ত নানা গল্প দেখতে দেখতে বরিশালে এসেছি। এটি শুধু যাতায়াত নয়; আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী এক জীবন্ত যান। একে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন।মহিউদ্দীন আহমেদ, যাত্রী ও সাবেক সচিবঅপেক্ষার অবসান ঘটে সন্ধ্যা সাতটার দিকে। বাতাসে ভেসে ওঠে হুঁইশেলের শব্দ। সগৌরবে এগিয়ে এসে নোঙর করে পি এস মাহসুদ। বরিশালবাসীর জন্য তা যেন এক অনন্য অনুভূতির মুহূর্ত।
ঢাকা থেকে শুক্রবার সকাল আটটায় বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে স্টিমারটি। দুপুর ১২টায় চাঁদপুরে বিরতি শেষে বেলা একটায় আবার যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিনের যাত্রায় স্টিমারটিতে প্রথম শ্রেণির ১২টি কেবিনে ছিলেন ২৩ জন এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ছিলেন সাতজন যাত্রী।
ঐতিহ্যবাহী স্টিমারযাত্রার প্রথম দিনের যাত্রী হয়ে বরিশালে আসেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ এক ভিন্ন অনুভূতি—ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নদীর রূপ-লাবণ্য, নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকাসংক্রান্ত নানা গল্প দেখতে দেখতে বরিশালে এসেছি। এটি শুধু যাতায়াত নয়; আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী এক জীবন্ত যান। একে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। নদীকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশেও এর বড় ভূমিকা থাকবে।’
আরও পড়ুনশতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত প্রধান উপদেষ্টা১২ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনশতবর্ষী স্টিমারে কীভাবে চড়বেন, খরচ কত১৪ নভেম্বর ২০২৫গত মে মাসে স্টিমার চালুর সিদ্ধান্ত নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে পিএ স মাহসুদ সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, জরিপ, ফিটনেস প্রতিবেদনসহ সব আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ আবার নদীপথে ফিরল শতবর্ষী এই জলযান।
ঐতিহাসিক নকশা ও কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে স্টিমারটির ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিক করা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল নেভিগেশন ব্যবস্থা, আধুনিক কেবিন, পর্যটকবান্ধব ডেক এবং আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা সরঞ্জাম। পরিবেশবান্ধব, কম ধোঁয়া নির্গমনকারী ইঞ্জিন ব্যবহার করায় নদীদূষণও কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তিন বছর পর কীর্তনখোলার বুকে ফিরল প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ
তিন বছরের বেশি বিরতির পর আবার কীর্তনখোলা নদীর বুক ছুঁয়ে যাত্রী নিয়ে বরিশালে ভিড়ল ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টিমারটি বরিশালে নোঙর করে। পুরোনো স্টিমারঘাটের পুনর্নির্মাণকাজ চলমান থাকায় নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় অবস্থিত বিকল্প ঘাটে নোঙর ফেলতে হয় স্টিমারটিকে।
পি এস মাহসুদের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে বিকেল থেকেই ত্রিশ গুদাম এলাকায় জমতে থাকে উৎসুক মানুষের ভিড়। সবারই অধীর অপেক্ষা—কখন কীর্তনখোলার জলে প্যাডেলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে নতুনরূপে ফিরবে সেই চিরচেনা স্টিমার; উত্তরের হাওয়ায় ভেসে আসবে পুরোনো হুঁইশেলের ডাক।
এ এক ভিন্ন অনুভূতি—ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নদীর রূপ-লাবণ্য, নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকাসংক্রান্ত নানা গল্প দেখতে দেখতে বরিশালে এসেছি। এটি শুধু যাতায়াত নয়; আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী এক জীবন্ত যান। একে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন।মহিউদ্দীন আহমেদ, যাত্রী ও সাবেক সচিবঅপেক্ষার অবসান ঘটে সন্ধ্যা সাতটার দিকে। বাতাসে ভেসে ওঠে হুঁইশেলের শব্দ। সগৌরবে এগিয়ে এসে নোঙর করে পি এস মাহসুদ। বরিশালবাসীর জন্য তা যেন এক অনন্য অনুভূতির মুহূর্ত।
ঢাকা থেকে শুক্রবার সকাল আটটায় বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে স্টিমারটি। দুপুর ১২টায় চাঁদপুরে বিরতি শেষে বেলা একটায় আবার যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিনের যাত্রায় স্টিমারটিতে প্রথম শ্রেণির ১২টি কেবিনে ছিলেন ২৩ জন এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ছিলেন সাতজন যাত্রী।
ঐতিহ্যবাহী স্টিমারযাত্রার প্রথম দিনের যাত্রী হয়ে বরিশালে আসেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ এক ভিন্ন অনুভূতি—ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নদীর রূপ-লাবণ্য, নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকাসংক্রান্ত নানা গল্প দেখতে দেখতে বরিশালে এসেছি। এটি শুধু যাতায়াত নয়; আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী এক জীবন্ত যান। একে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। নদীকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশেও এর বড় ভূমিকা থাকবে।’
আরও পড়ুনশতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত প্রধান উপদেষ্টা১২ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনশতবর্ষী স্টিমারে কীভাবে চড়বেন, খরচ কত১৪ নভেম্বর ২০২৫গত মে মাসে স্টিমার চালুর সিদ্ধান্ত নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে পিএ স মাহসুদ সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, জরিপ, ফিটনেস প্রতিবেদনসহ সব আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ আবার নদীপথে ফিরল শতবর্ষী এই জলযান।
ঐতিহাসিক নকশা ও কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে স্টিমারটির ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা আধুনিক করা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল নেভিগেশন ব্যবস্থা, আধুনিক কেবিন, পর্যটকবান্ধব ডেক এবং আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা সরঞ্জাম। পরিবেশবান্ধব, কম ধোঁয়া নির্গমনকারী ইঞ্জিন ব্যবহার করায় নদীদূষণও কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীরা