বলিউড তারকা সুস্মিতা সেনের আজ জন্মদিন। মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে অল্প বয়সেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সুস্মিতা সেন। তাঁর বয়স যখন মাত্র ১৫, তখন থেকে বিভিন্ন ফ্যাশন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতেন।

১৯৯৪ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ সুস্মিতা সেনের প্রেম, বিয়ে বিনোদনজগতের চর্চিত বিষয়। প্রেমের মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন আনন্দ।

সুস্মিতা সেনের সঙ্গে প্রেম করছেন—২০২২ সালের জুলাই মাসে এক্স (সাবেক টুইটারে) রীতিমতো ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন ললিত মোদি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সাবেক এই কমিশনার বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন। হঠাৎই তাঁদের প্রেমের খবর নিয়ে অন্তর্জালে ঝড় বয়ে গেছে। সুস্মিতা সেনের ভাই থেকে শুরু করে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ললিত মোদির সন্তান পর্যন্ত। বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং তো নতুন এই যুগলকে শুভকামনা জানিয়েছেন। বছর তিনেক আগে রোহমান শালের সঙ্গে প্রেমের খবর নিয়ে আবারও শিরোনামে আসেন সুস্মিতা। আজ নায়িকার জন্মদিনে জেনে নিই তাঁর পুরোনো প্রেমগুলোর কথা। ক্রিকেটার, পরিচালক, অভিনেতা থেকে ব্যবসায়ী—কার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়নি!

কয়েক বছর ধরে কাশ্মীরি মডেল রোহমান শালের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোহমান সাবেক এই মিস ইউনিভার্সের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট। একসময় তাঁদের প্রেমের ভাঙন নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। ৪৬ বছর বয়সী সুস্মিতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বন্ধুত্বের হাত ধরে আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। আমরা বন্ধু হয়েই আছি। সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ভালোবাসা অটুট থাকবে।’
সুস্মিতার জীবনে এর আগে একাধিক প্রেম এসেছে আর গেছে। সুস্মিতার জীবনে কোন কোন পুরুষ এসেছেন, তা দেখে নেওয়া যাক:
বিক্রম ভাট
মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর সবার প্রথম সুস্মিতার সঙ্গে নির্মাতা বিক্রম ভাটের রোমান্সের খবর উঠে এসেছিল। বিক্রম বিবাহিত ছিলেন। তাই সুস্মিতা আর বিক্রমের বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক আরও আলোচনায় উঠে এসেছিল।

‘দস্তক’ (১৯৯৬) ছবির শুটিংয়ের সেট থেকে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বিক্রম এই ছবির পরিচালক ছিলেন। আর সুস্মিতা ছিলেন ‘দস্তক’ ছবির মূল নায়িকা। বেশ কিছুদিন পর তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এদিকে বিক্রম তাঁর স্ত্রীকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য পরে আফসোস করেছিলেন বলে জানা গেছে।

রণদীপ হুদা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ সাংবাদিক পেলেন দেশসেরা প্রতিবেদনের স্বীকৃতি

ছাপা পত্রিকা, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের ২৭ জন সাংবাদিক অর্জন করেছেন ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। গত রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে সেরা প্রতিবেদনের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এতে সহায়তা দিয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে নগদ পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী, গেস্ট অব অনার হিসেবে নগদ লিমিটেডের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ নগদ পরিচালনা বোর্ডের সদস্যবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

২৪টি ক্যাটাগরিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ২৭টিকে পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি ক্যাটাগরিতে চারজন যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের প্রতিবেদনগুলো পুরস্কার মনোনয়নের জন্য বিবেচিত হয়েছে।

পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন সালাহ উদ্দিন জসিম (জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), সাজ্জাদুর রহমান (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), রফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), এম এ নোমান (দৈনিক আমার দেশ), জিয়াদুল ইসলাম (দৈনিক আমাদের সময়), মো. শাখাওয়াত প্রিন্স (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), মো. শরিফুল ইসলাম (দ্য ডেইলি স্টার), দীপন নন্দী (দ্য ডেইলি স্টার), হারুন আর রশিদ (দৈনিক কালবেলা), মো. আবু সালেহ রনি (দৈনিক সমকাল), মো. রাহেনুর ইসলাম (সকালসন্ধ্যা ডটকম), মো. শওকত আলী (দৈনিক দেশ রূপান্তর), মো. জসীম উদ্দীন (ঢাকা পোস্ট ডটকম), এহসানুল হক জসীম (দ্য ডেইলি সান), মো. হেলিমুল আলম (দ্য ডেইলি স্টার), শামসুল হক মোহাম্মদ মিরাজ (দৈনিক কালেরকণ্ঠ), শাহ মো. রাশেদুর রহমান  (ডিবিসি নিউজ), আবু জাহেদ মুহম্মদ সেলিম (মাছরাঙা টেলিভিশন), আলমগীর হোসেন (যমুনা টেলিভিশন), রাজিব ঘোষ (ডিবিসি নিউজ), মো. ইমদাদুল হক (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর), মো. ইউসুফ আলী (ডিবিসি নিউজ), সুশান্ত কে সিনহা (একাত্তর টেলিভিশন), শাহনাজ শারমীন (একাত্তর টেলিভিশন), মেহ্দী আজাদ মাসুম (বৈশাখী টেলিভিশন), মৌসুমী ইসলাম (দ্য ডেইলি সান) এবং হাসান আরিফ (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ)।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউয়ের সভাপতি আবু সালেহ আকন।

এ পুরস্কারের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।

এর আগেও ২০২১ সালে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের সার্বিক সহায়তা করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা নগদ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় সেবা হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত উন্নয়ন ও সম্মাননা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ