কারাগারে ভেজেমাইট (একধরনের জেলি) খেতে না দেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক বন্দী। ওই বন্দীর নাম আন্দ্রে ম্যাককেচনি (৫৪)। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন।

বর্তমানে ম্যাককেচনি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের একটি কারাগারে (সংশোধনকেন্দ্র) সাজা ভোগ করছেন। তবে কারাগারে বসে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি।

৮০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলীয় পরিবারের রান্নাঘরে ভেজেমাইটের কৌটা পাওয়া যাবে। তবে ভিক্টোরিয়ার ১২টি কারাগারের বন্দীরা খাবারটি খেতে পারেন না। ভেজেমাইট খেতে না দেওয়ায় ভিক্টোরিয়ার বিচার ও সমাজ সুরক্ষা বিভাগ এবং কারাগার পরিচালনা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করছেন ম্যাককেচনি। আগামী বছর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

২০০৬ সালে ভিক্টোরিয়ার কারাগারগুলোয় ভেজেমিট নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ, এটি মাদক শনাক্ত করতে সক্ষম কুকুরের কাজে ব্যঘাত সৃষ্টি করে। বন্দীরা আগে ভেজেমাইটের আড়ালে অবৈধ মাদক লুকিয়ে রাখতেন। তাঁরা মনে করতেন, গন্ধের কারণে কুকুর মাদক চিহ্নিত করতে পারবে না।

এ ছাড়া ভেজেমাইটে ইস্টের উপাদান থাকে, যা ভিক্টোরিয়ার কারাগারগুলোয় নিষিদ্ধ। কারা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, এটি ‘মদ উৎপাদনে ব্যবহার করা হতে পারে’।

কারা কর্তৃপক্ষ ম্যাককেচনিকে মানবাধিকার আইন অনুযায়ী অস্ট্রেলীয় হিসেবে নিজস্ব সংস্কৃতি উপভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে—তিনি আদালতের কাছ থেকে এমন একটি ঘোষণা চাচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার আইনে প্রত্যেকের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, জাতিগত বা ভাষাগত অধিকার নিশ্চিত করার সুবিধার কথা বলা আছে। এর মাধ্যমে প্রত্যেককে তাঁর সংস্কৃতি উপভোগের, ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের এবং ভাষা ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ কারাবিধি লঙ্ঘন করেছেন, আদালতের কাছে এমন একটি ঘোষণা চান ম্যাককেচনি। কারণ, তারা তাঁর সুস্থতা বজায় রাখতে যথাযথ খাবার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ জ ম ইট বন দ র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পেনাল্টি মিস করে জয় হাতছাড়া করল ব্রাজিল

বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ধাক্কা খেল ব্রাজিল। আগের ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারানো দলটি আজ মঙ্গলবার রাতে ১-১ গোলে ড্র করেছে তিউনিসিয়ার সঙ্গে। এই ম্যাচে অবশ্য জেতার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু লুকাস পাকেতার পেনাল্টি মিসে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি ‘সেলেসাও’রা। এ ছাড়া কাছাকাছি গিয়ে আরও কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছে দলটি।

লিলে শুরু থেকে আক্রমণ ও বলদখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেও ব্রাজিল যেন ঠিক ছন্দে ছিল না। তাঁদের আক্রমণগুলো ছিল লক্ষ্যহীন এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

ভুল পাসের কারণে আক্রমণগুলো বারবার তাল হারানোয় পাওয়া হচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলটিও। আর ব্রাজিলের এই ছন্দহীনতার সুযোগ নিয়ে প্রতি-আক্রমণ থেকে আকস্মিক গোল আদায়ের চেষ্টা করে তিউনিসিয়া। সেই লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত সফলও হয় তারা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোল করে তিউনিসিয়াকে এগিয়ে দেন হাজেম মাসতৌরি।

গোল খেয়ে ব্রাজিল চেষ্টা করে স্বরূপে ফেরার। কয়েকবার আক্রমণেও যায় তারা। ব্রাজিলের আক্রমণের চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙেই পড়ে তিউনিসিয়া।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেয় আফ্রিকান দেশটি। দারুণ এক শটে গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এস্তেভাও। এটি ব্রাজিলের হয়ে চার ম্যাচে এস্তেভাওয়ের চতুর্থ গোল। এই গোলের পর সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর দেখা মেলে সংগঠিত ও আগ্রাসী ব্রাজিলের। পরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে তিউনিসিয়ার রক্ষণকে কাঁপিয়েও দেয় তারা। কিন্তু প্রত্যাশিত গোলটি মিলছিল না কোনোভাবে।

এ সময় তিউনিসিয়া যথারীতি নির্ভর করে প্রতি-আক্রমণের ওপর। এই কৌশলে দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করে তারা। যদিও গোল পাওয়া হচ্ছিল না তাদেরও। তিউনিসিয়া না পারলেও ব্রাজিলের সামনে সুযোগ এসেছিল আরেকটি পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। এই মিসই মূলত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়, শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ