আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের কারণে শীতকালীন ছুটির সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।

বুধবার (‎১৯ নভেম্বর)‎ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান বেরোবি উপাচার্য ড.

মো. শওকাত আলী।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ি শীতকালীন ছুটি আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

উপাচার্য বলেন, “আগামী ২৯ ডিসেম্বর ব্রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য শীতকালীন ছুটির পিছিয়ে আগামী বছরের ১৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সভায় সম্মতিক্রমে এটা গৃহিত হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ঢাবির ৩০ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান

বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারই দূষিত, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

‎তিনি বলেন, “যেসব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হয়েছে, সেগুলোতে ক্লাসসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করার জন্য আগামীকাল চিঠি দেওয়া হবে। ডিসেম্বরে যখন শীতকালীন ছুটিগুলো ছিল, ওই সময় ক্লাস-পরিক্ষাসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও জানান উপাচার্য।

ব্রাকসু নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম না থাকায় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের চাপের মুখে রাত সাড়ে ৯টায় ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ছয় সদস্যের পূর্ণ কমিশন ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে জানিয়ে একটি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল ঘোষণার পরই তা প্রত্যাখান করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরদিন বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ ফটকে সংবাদ সম্মেলনে ‎শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যদি ছাত্র সংসদ নিয়ে সদিচ্ছা থাকে, তাহলে তারা ব্রাকসুর তারিখ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শীতকালীন ছুটি ও ব্রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতার ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

জামালপুরের কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. দৌলতুজ্জামান আনসারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।

মো. দৌলতুজ্জামান কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর এলাকায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে কৃষক দল থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতুজ্জামান জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোস্টারও লাগিয়েছিলেন। হঠাৎ গতকাল তিনি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তখন এলাকার কেউ তাঁর পদত্যাগের কারণ বুঝতে পারেননি। আজ সন্ধ্যার পর তাঁর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার খবর জানতে পারেন সবাই।

মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবীর বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাঁর পদত্যাগ বিএনপির রাজনীতি বা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মো. দৌলতুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দলে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে তিন থেকে চার মাস থেকে দৌলতুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। আজই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগদান করেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ