কুমিল্লায় মহাসড়কের বকুলগাছে দফায় দফায় আগুন
Published: 19th, November 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো বকুলগাছে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে, কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে সওজের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয়রা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার থেকে হায়দার পুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বিভাজকের বকুলগাছে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে, গত দুই দিন একই সময় আগুন দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে গ্যারেজে থাকা বাসে আগুন দিল সন্ত্রাসীরা
গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সড়ক ও জনপথের নিয়োজিত কর্মীরা সময় বাঁচাতে এবং পরিশ্রম কমাতে আগুন দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে থাকেন। এতে অনেক সময় বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো গাছে আগুন ধরে যায়।
এ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন সওজের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘‘মহাসড়কের পাশের বাসিন্দারা বিভাজকের মাঝখানে সবজি চাষের জন্য আগুন দেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এরশাদ উল্লাহ নামে স্থানীয়রা এক বাসিন্দা এমন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘‘আমরা নিজের জমি চাষাবাদ করার সময় পাই না। মহাসড়কের ওপর সবজি চাষ করব কখন। প্রতিবছরই এখানে আগুন দেওয়া হয়। সরকার তদন্ত করে যেন এসব দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’’
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়, মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার থেকে হায়দার পুল পর্যন্ত বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো বকুলগাছে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গত বছরের মার্চ মাসেও একই স্থানে আগুনে প্রায় অর্ধশত বকুলগাছ ঝলসে যায়।’’
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহামেদ বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে মহাসড়কটি চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্যবর্ধন এবং হেডলাইটের আলো অন্য লেনে না পড়ার জন্য বিভাজকের ওপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি ফুলগাছ এবং ৪০ হাজারের বেশি বড় গাছ লাগানো হয়। এর মধ্যে, কুমিল্লার বেলতলি এলাকা বকুলগাছে সাজানো।
ঢাকা/রুবলে/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় মহাসড়কের বকুলগাছে দফায় দফায় আগুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো বকুলগাছে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে, কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে সওজের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয়রা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার থেকে হায়দার পুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বিভাজকের বকুলগাছে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে, গত দুই দিন একই সময় আগুন দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে গ্যারেজে থাকা বাসে আগুন দিল সন্ত্রাসীরা
গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সড়ক ও জনপথের নিয়োজিত কর্মীরা সময় বাঁচাতে এবং পরিশ্রম কমাতে আগুন দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে থাকেন। এতে অনেক সময় বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো গাছে আগুন ধরে যায়।
এ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন সওজের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘‘মহাসড়কের পাশের বাসিন্দারা বিভাজকের মাঝখানে সবজি চাষের জন্য আগুন দেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এরশাদ উল্লাহ নামে স্থানীয়রা এক বাসিন্দা এমন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘‘আমরা নিজের জমি চাষাবাদ করার সময় পাই না। মহাসড়কের ওপর সবজি চাষ করব কখন। প্রতিবছরই এখানে আগুন দেওয়া হয়। সরকার তদন্ত করে যেন এসব দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’’
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়, মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার থেকে হায়দার পুল পর্যন্ত বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো বকুলগাছে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গত বছরের মার্চ মাসেও একই স্থানে আগুনে প্রায় অর্ধশত বকুলগাছ ঝলসে যায়।’’
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহামেদ বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে মহাসড়কটি চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্যবর্ধন এবং হেডলাইটের আলো অন্য লেনে না পড়ার জন্য বিভাজকের ওপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি ফুলগাছ এবং ৪০ হাজারের বেশি বড় গাছ লাগানো হয়। এর মধ্যে, কুমিল্লার বেলতলি এলাকা বকুলগাছে সাজানো।
ঢাকা/রুবলে/রাজীব