নচিকেতার ‘নীলাঞ্জনা’ ফিডব্যাকের গানের অনুপ্রেরণায়, মন্তব্য ভারতীয় শিল্পীর
Published: 11th, January 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেতা দেবের ভক্তদের কাজিয়া থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার ক্যাকটাস ব্যান্ডের ভোকাল সিধুর করা এক মন্তব্যে চটেছেন নচিকেতা চক্রবর্তীর ভক্তরা। সিধুর ওই মন্তব্যের সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও।
রাজশ্রী” অবশ্যই ইনফ্লুয়েন্সড। “নীলাঞ্জনা ১” মানে “হাজার কবিতা/ বেকার সবই তা” গানটি অবশ্যই বাংলাদেশের ফিডব্যাক ব্যান্ডের গান থেকে নেওয়া‘টাইম অ্যান্ড টাইড পডকাস্ট উইথ সৌরভ’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিধু। সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার ও বিশ্বসংগীতের নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন তিনি। কথায় কথায় আসে নচিকেতা চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গক্রমে জানান, নচিকেতার মতো শিল্পীর কিছু গানের সুরও অন্য গান থেকে অনুপ্রাণিত। সিধু বলেন, নচিকেতার বহুল চর্চিত ‘নীলাঞ্জনা ১’ গানটি বাংলাদেশের ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি গান থেকে অনুপ্রাণিত।
সিধুর ভাষ্যে, ‘“রাজশ্রী” অবশ্যই ইনফ্লুয়েন্সড। “নীলাঞ্জনা ১” মানে “হাজার কবিতা/ বেকার সবই তা” গানটি অবশ্যই বাংলাদেশের ফিডব্যাক ব্যান্ডের গান থেকে নেওয়া।’ এরপর ফিডব্যাকের ‘দিন যায় দিন চলে যায়, রাত যায় রাত চলে যায়, সময় যে বাধা মানে না, এই মনকে বোঝানো যে গেল না’ গানটির কয়েকটি লাইন গেয়ে শোনান সিধু। ‘দিন যায়’ গানের সঙ্গে ‘নীলাঞ্জনা’ গানটির সুরের কতখানি মিল, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে সিধুর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর চটেছেন নচিকেতার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিধুকে কটূক্তি করছেন কথিত নচিকেতার ভক্তরা। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সিধু বলেন, ‘কাউকে অপমান করব বলে বলিনি। নচিদাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি। তাঁকে কেনই–বা এই ধরনের কথা বলতে যাব!’ তাঁর যুক্তি, প্রসঙ্গ সূত্রে অন্য শিল্পীদের গান নিয়েও কথা উঠেছিল। সেই সময় তিনি এই বক্তব্য দেন। জানান, বরাবর কুইজ করে এসেছেন। এ ধরনের তথ্য তাঁর কাছে অনেক রয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে উদাহরণসহ কথা বলতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। বহুল চর্চিত ওই সাক্ষাৎকারে সিধু বলেন, ‘জনপ্রিয় অনেক গানই অন্য গানের সুর থেকে অনুপ্রাণিত। এটা স্বীকার করে নিলেই হয়।’
বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই নচিকেতারও। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘কেন রাগ করতে যাব? সিধুর যা মনে হয়েছে, সেটাই বলেছে ও।’ কিন্তু ঘটনার পর থেকে নচিকেতার ভক্তরা যে সিধুকে প্রায় ফি দিন কটূক্তিতে বিঁধছেন! এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নচিকেতার ভাষ্য, ‘দেখুন, আমার অনেক ভক্ত। অনেকেই নিজেকে আমার অনুরাগী বলে দাবি করেন। তাঁরা কে, কী করছেন বা বলছেন, এত কি দেখা সম্ভব? কাকেই–বা বলব? কে বলেছেন, তা-ই জানি না! আমার হাতে এত সময় নেই।’
আরও পড়ুনছোটবেলায় গান শুনে রুনা লায়লার প্রেমে পড়েছিলেন নচিকেতা ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে সিধুর বক্তব্য কী। ‘হলুদ পাখি’ গায়ক বলেন, ‘তাঁরা অন্ধবিশ্বাসী। কিছু না বুঝে পাগলের মতো আচরণ করেন। পাগলদের পাত্তা দিই না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুবিনের মৃত্যু: আসামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পুলিশের গুলি
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় আসামের জনপ্রিয় শিল্পী জুবিন গার্গের। এর পর থেকেই উত্তপ্ত আসাম। প্রথমে প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন আসামবাসী। এর মধ্যে জুবিনের মৃত্যু ঘিরে নানা গুঞ্জন চাউর হয়। এর পর থেকেই বিচারের দাবিতে সোচ্চার ভক্তরা। তবে গতকাল বুধবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেটা এতটাই যে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়। খবর ইন্ডিয়া টুডের
গতকাল জুবিন গার্গের মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জেলা কারাগারে আনা হয়। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গাড়ি জেলের ফটকে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ভক্তরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জুবিন গার্গ