আইনজীবী জানালেন, সাইফকে হামলা করা ব্যক্তি বাংলাদেশি নন
Published: 19th, January 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের উপর হামলার ঘটনায় মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি বলে জানান, মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম। তবে শরিফুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে এমন কোনও নথি নেই, যাতে প্রমাণিত হয় তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।
ভারতীয় গণমাধ্যম একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে গ্রেফতারের পর শেহজাদকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা হলিডে কোর্টে পেশ করা হয়। আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে মুম্বাই পুলিশের (জোন ৯)-এর ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘১৬ অক্টোবর রাত ২টার দিকে সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকে তার উপর হামলা করা হয়। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয় এবং এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম মো.
শরিফুলের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে পুলিশ তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে সে বাংলাদেশের নাগরিক। তার কাছে ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথিপত্র নেই। আমরা কিছু নথি তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছি। তা থেকে মনে করা হচ্ছে সে বাংলাদেশি। এখনও পর্যন্ত তদন্তে আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা থেকে এটুকু মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি এই প্রথম সাইফ আলী খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।’
এদিকে মুম্বাই পুলিশের বাংলাদেশি তত্ত্ব খারিজ করে অভিযুক্ত মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি বলেন, ‘পুলিশ যে প্রমাণের ভিত্তিতে তার (অভিযুক্ত মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ) হেফাজত চেয়েছে তা যথেষ্ট নয়। সে যে বাংলাদেশি নাগরিক,তার সমর্থনে পুলিশ কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’
শরিফুলের আরেক আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, ‘প্রথমত, সাইফ আলী খান কখনও এমন কোনও বিবৃতি দেননি যাতে বাংলাদেশ বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ তার জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তার কোনও আন্তর্জাতিক মামলা নেই। পুলিশ বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে আগে বাংলাদেশে থাকত। কিন্তু এখন থাকে না। পুলিশ বলছে, গত ৬ মাস ধরে সে মুম্বাইয়ে রয়েছে। এটা মিথ্যা। তার পরিবার ৭ বছর ধরে মুম্বাইয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় ঠিকঠাক তদন্ত হচ্ছে না। পুলিশের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে অভিযুক্ত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক।’
আদালতে কেন শরিফুলের পরিবারের কাউকে দেখা গেল না- এ প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবীরা বলেন, ‘চাপের মুখে তারা এখানে আসতে পারেননি। অবশ্যই আসবেন, যখন প্রয়োজন হবে।’ সূত্র: আনন্দবাজার ও ইটিভি বাংলা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি মুলতবি
এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামের নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ ১৭ মে রিটটি করেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জুয়েল আজাদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ও আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আগামী সপ্তাহে রিটটি শুনানির জন্য আসবে।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট১৭ মে ২০২৫রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।