তরুণ স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে পা রেখেছেন সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জকোভিচ। গ্র্যান্ডস্লামে ৫০তম বারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার মেলবোর্নের রড লাভের অ্যারেনায় হাইভোল্টেজ ম্যাচে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে জিতেছেন ৩৭ বছর বয়সী জকো। এতে তার ১১তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের সুযোগ বাঁচল।

বয়স হয়েছে জকোভিচের। তার পূর্বের প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল অবসরে গেছেন। লড়াই জমাতে নতুন করে আলোয় এসেছেন আলকারাজ। তার বিপক্ষে অনেকটা আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন জকো। তবে অ্যান্ডি মুরেকে কোচ করার সুফল যেন দ্বিতীয় সেটেই পান তিনি। 

প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান জকো। ৩-০’র লিড নেন। যদিও আলকারাজ তা ৩-৩ করে ফেলেন। পরের গল্পটা জকোর। মেলবোর্ন পার্কের ভরা গ্যালারিতে ৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিটের লড়াই শেষে সার্বিয়ান স্নো লিওপার্ডের মতো গর্জন ছাড়েন জকো। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র ল স আলক র জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ