শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন: রিজভী
Published: 3rd, February 2025 GMT
শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আন্দোলন দমানোর জন্য অথবা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বানচালের জন্য গুলির ব্যবহার চির দিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের নিয়ে শহীদ জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পুলিশ দিয়ে, পুলিশের শটগান দিয়ে গুলি করে যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছেন, এদেশে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার মতো বর্বর শাসন আর এ দেশে আনা যাবে না। কিন্তু আবারও শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের ভেতর নানা উস্কানি দিচ্ছেন ও নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি জনগণের সাড়া না পেয়ে অনলাইনে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথায় আপনার যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসীবাহিনী। যারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। শিশুদের হত্যা করেছে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। দেশের মানুষ আর আপনাদের মেনে নেবে না। তারা চায় সব অপকর্মে আপনাদের বিচার হোক।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এমন সংস্কার করতে হবে, আর কোনদিন যেন কোনো রক্তচক্ষু মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে না নিতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন, সরকারের সমালোচনা করলে তারা বিরক্ত হন, বিভিন্ন মন্তব্য করেন। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দল করেন। আজকে যদি চালের দাম বাড়ে আমরা সমালোচনা করবো না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কথা বলতে পারবো না, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে পারবো না?
রিজভী আরও বলেন, এখনও বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয়, সিন্ডিকেট দমনে সরকারের আন্তরিকতা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে না, দেশে চুরি ডাকাতি ও হত্যা বেড়ে গেছে। দ্রুত এসব নিয়ে ব্যস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, আগামী দিনের গণতন্ত্রের সত্যিকার মুক্ত পরিবেশ, যেখানে নির্ভয়ে কথা বলা যাবে এবং সভা ও সমাবেশ করা যাবে।
এ সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা, সদস্যসচিব মহিউদ্দিন আহমেদসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
১৫ আগস্ট উপলক্ষে রাজধানীতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ প্রধান কার্যালয় ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের অবস্থান।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার কোনো চেষ্টা সহ্য করা হবে না। যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই দিনে কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো বা উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজর রাখছে ডিএমপির সাইবার ইউনিট।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসক দেখিয়ে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় বউ-শাশুড়ি আহত
এএসআই’র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ
এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও (ডিবি) মাঠে কাজ করছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট)। সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তি বা যানবাহনকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, কোনো ধরনের জমায়েত বা মিছিল থেকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। সার্বিকভাবে, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ