শরীয়তপুরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ডিলার পয়েন্টে স্টাফদের হাত-পা বেঁধে ভল্ট থেকে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খুলনা জেলার মেহেরাজ (৫০), মোরশেদ (৩০) ও মিলন মোল্লা (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ জানুয়ারি জেলা শহরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর জেলা পরিবেশক সেলফ প্রমোশন সার্ভিসের ডিলার পয়েন্টে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাতরা ভবনের পেছনের একটি গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তিনজন অফিস স্টাফকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ভল্টে থাকা এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ডিলার পয়েন্টের কর্মচারী শফিউল আলম শিহাব বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গত মঙ্গলবার খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় লুট হওয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা, ৫০টি মোবাইল ফোন, একটি পিকআপ, মোটরসাইকেল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি লুট হওয়া বাকি মালামালও দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ