শরীয়তপুর থেকে উদ্ধার ৩১টি বন্যপ্রাণীর ঠাঁই হলো সাফারি পার্কে
Published: 19th, February 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে উদ্ধার ৩১টি বন্যপ্রাণীর ঠাঁই হয়েছে গাজীপুরের সাফারি পার্কে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্কে নিয়ে আসেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মীরা। জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি এলাকায় মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম শিশু পার্ক ও পিকনিক স্পটে অবৈধভাবে এসব প্রাণী সংরক্ষণ করা হচ্ছিল।
উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১টি ভালুক, ১টি মিঠা পানির কুমির, ৩টি বার্মিজ অজগর, ৯টি শজারু, ২টি মেছো বিড়াল, ২টি বন বিড়াল, ২টি কালিম পাখি, ১০টি ঘুঘু, ২টি টিয়া ও ২টি বালিহাঁস।
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের হরিণ এবং খামারের লাইসেন্স আছে। এ জন্যই মিনি চিড়িয়াখানা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সময়ে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে এসব প্রাণী সংগ্রহ করলেও তখন কেউ আমাদের বলে নায়, এগুলোর জন্য লাইসেন্স করতে হবে। এখন আমাদের কাছে যা আছে, তা বন্যপ্রাণী অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছি।’’
বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলোকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পরে অবমুক্ত করা হবে। মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম শিশু পার্ক ও পিকনিক স্পট কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, আইন না জেনে প্রাণীগুলোকে আটকে রেখেছিলেন তারা। তাদের মিনি চিড়িয়াখানায় কোনো ধরনের বন্যপ্রাণী প্রদর্শন করা যাবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’