ঢাবির শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন
Published: 1st, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার অফিসার্স ক্লাব ঢাকায় এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাবেক ছাত্রনেতা মেসবাহ উদ্দিন আলীকে আহ্বায়ক এবং বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব হাফিজুল্লাহ খান লিটনকে সদস্যসচিব করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসময় নবনির্বাচিত আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব সকলকে সঙ্গে নিয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে অর্জনে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেই সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সভাকে অবহিত করেন।
সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা
প্রায় এক শতাব্দী ধরে ডার্ক ম্যাটার জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম বড় রহস্য। ১৯৩০ দশকে এই ধারণা প্রথম উত্থাপন করা হয়। সুইডেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি প্রথম উপলব্ধি করেন দূরবর্তী কোমা ক্লাস্টারের গ্যালাক্সি তাদের দৃশ্যমান নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা একত্রে ধরে রাখার জন্য অনেক দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েক দশক পর ভেরা রুবিনের সর্পিল গ্যালাক্সিও কোনো একটি অদৃশ্য ভর অতিরিক্ত মহাকর্ষীয় প্রভাব তৈরি করছে বলে জানা যায়। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটারের ঝলক শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণের সময় প্রায় ২০ গিগা ইলেকট্রন ভোল্টের শক্তিতে গামা রশ্মির একটি হ্যালো-আকৃতির আভা দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী সংকেত, যা উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেল বা ডাব্লিউআইএমপি নামে পরিচিত কাল্পনিক ডার্ক ম্যাটার কণার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে। তত্ত্ব অনুসারে, যখন দুটি এমন কণার মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন তারা একে অপরকে ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে গামা রশ্মি নির্গত হয়। এই রশ্মি মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আলোর রূপ।
নতুন এ আবিষ্কারের বিষয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তোমোনোরি তোতানি জানান, নির্গত ডার্ক ম্যাটার প্রত্যাশিত আকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিলে যায়। এই ঘটনার সহজ বিকল্প ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার ফলাফল সঠিক হলে এটি হবে মানবজাতির প্রথমবার ডার্ক ম্যাটার দেখার অভিজ্ঞতা। এর ফলে পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন কণার উপস্থিতি জানা যাবে। তখন বিজ্ঞানীরা হিগস বোসনের মতো একটি রূপান্তরমূলক আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ডার্ক ম্যাটার আলো নির্গত, শোষণ বা প্রতিফলিত করে না। আর তাই শক্তিশালী হলেও অদৃশ্য থাকে এই পদার্থ। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এই পদার্থ মহাবিশ্বের সব পদার্থের প্রায় ৮৫ শতাংশ তৈরি করে। আমাদের দেখা সবকিছু—নক্ষত্র, গ্রহের চেয়ে ভারী এই পদার্থ।
সূত্র: এনডিটিভি