যুদ্ধবিমুখ চীন চোখধাঁধানো অস্ত্র বানিয়ে আসলে চাচ্ছেটা কী
Published: 13th, November 2025 GMT
১৯০০০০০০০০০০০০ মার্কিন ডলার। হাতে গোনা কঠিন হচ্ছে? সংক্ষেপে বললে হয় ১৯ ট্রিলিয়ন ডলার। চীনের জিডিপি তারও বেশি। অর্থনীতিতে তার চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই দেশের ধারেকাছেও কেউ নেই। আর সমরশক্তি? এখানে চীনের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে মাও সে–তুংয়ের দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে রাশিয়াকে টপকে যেতে হয়তো তাদের বেশি সময় লাগবে না।
চীন বড় তাক লাগিয়ে দিয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূ্র্তি উপলক্ষে বিশাল সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর (বিজয় কুচকাওয়াজ) আয়োজন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। প্রযুক্তির মিশেলে অস্ত্র যে কতটা অত্যাধুনিক ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, তা দেখা গেছে ওই প্রদর্শনীতে। একটি অস্ত্রের নামই তো দেওয়া হয়েছে ‘গুয়াম কিলার’। এমন নাম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সরাসরি হুমকি।
গুয়াম কিলার কেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি, সে বিষয়ে পরে আসছি। তার আগে কিছু প্রশ্ন সামনে আসে। গত ৪০ বছর যুদ্ধে না জড়ানো চীন কেন অস্ত্রশস্ত্রের দিকে এত ব্যাপক হারে মনোযোগ দিচ্ছে? তারা আসলে চাচ্ছেটা কী? সমরাস্ত্র আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে চীন কি সবাইকে টপকে পশ্চিমা আধিপত্যকে চুরমার করতে চাচ্ছে? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এসব প্রশ্নের জবাব।
সমরাস্ত্র উন্নয়ন শুরুটা যেভাবে
সমরাস্ত্রে চীনের দুর্বলতাটা ব্যাপক আকারে প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে তাইওয়ান প্রণালি সংকট ও উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়। তখন স্বাধীনতা ঘোষণার দিকে এগোচ্ছে তাইওয়ান। তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ মনে করে চীন। হুমকি দেওয়ার জন্য তাই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল বেইজিং। চীনের এই কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে তাইওয়ান প্রণালিতে দুটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করেছিল তাইপের মিত্র ওয়াশিংটন।
সে সময়ও সামরিক প্রযুক্তিতে বিশ্বে একক অধিপত্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন বাহিনীর সামনে টিকতে পারেনি দুর্বল চীন। দেশটির হাতে ছিল সোভিয়েত আমলের সেকেলে অস্ত্রশস্ত্র। এমনকি তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন বাহিনী যে গোপনে সাবমেরিন মোতায়েন করে রেখেছে, তা–ও ঘুণাক্ষরে টের পায়নি চীন। বেইজিং তখন বুঝতে পারে, সামরিক বাহিনীর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে তাদের।
চীন যদিও কিছু আগে থেকেই সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছিল। ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চীনা সামরিক বাহিনীতে বড় সংস্কার আনা হয়। প্রতিবছরই প্রতিরক্ষা বাজেট ১০ শতাংশ করে বাড়ানো হয়েছিল। তখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন জিয়াং জেমিন। ওই সংস্কারই ছিল আজকের আধুনিক চীনা বাহিনীর মূল ভিত্তি।
আজকের দিনে সমর খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও যোগ করছে চীন। যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এআইয়ে চীন যে কতটা উন্নতি করেছে, তা তাদের চ্যাটবট ডিপসিক দেখলে বোঝা যায়। এমন সব প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তৈরি চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান জে-২০ গত জুনে সুশিমা প্রণালি দিয়ে উড়ে যায়।
আশপাশে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় শক্তিশালী রাডার থাকলেও সেগুলো জে–২০ যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি টের পায়নি। আর সবচেয়ে আধুনিক ষষ্ঠ প্রজন্মের জে-৩৬ যুদ্ধবিমান চীন তৈরি করেছে, তা শেষ পর্যন্ত টিকে গেলে কৌশলগতভাবে বহু এগিয়ে যাবে এশিয়ার দেশটি।
শত্রুসেনার ওপর হামলা করতে পারে এই রোবট নেকড়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র সমর স ত র ত ইওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত ভিটামিন এ খেলে কী হয়
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করা জরুরি। কেননা এই খাদ্য উপাদান প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ভিটামিনের অভাব পূরণের জন্য উন্নত বিশ্বে প্রায় ৮২ শতাংশ বয়স্ক নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সম্পূরক বা বড়ি সেবন করে থাকেন। কিন্তু ভিটামিন বেশি খেলে নানা ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘প্রায় সব ভিটামিনেরই একটি টক্সিক মাত্রা আছে’’। একইভাবে অতিমাত্রায় ভিটামিন এ খেলে ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে কী হয়
শীতে চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে করণীয়
গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক
উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ সেবন গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। এতে টক্সিক মাত্রায় ভিটামিন এ থাকায় অনাগত শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
হাড়ের সমস্যা
হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া (অস্টিওপোরোসিস), হাড়ের ব্যথা, এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ত্বকের পরিবর্তন
ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাওয়া, চুল পড়া, এবং ঠোঁট ফাটা।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা অন্যান্য দৃষ্টি সংক্রান্ত জটিলতা।
এ ছাড়া উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ যকৃৎ, হাড় ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ বেশি ভিটামিন এ খেয়ে ফেললে বমি, মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক ভিটামিন এ- প্রস্তাবিত পরিমাণ নিচে দেওয়া হলো
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ: ৯০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
প্রাপ্তবয়স্ক নারী: ৭০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
গর্ভবতী নারী: ৭৭০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
স্তন্যদানকারী নারী: ১,৩০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
সূত্র: ম্যাক্স হসপিটাল
ঢাকা/লিপি