চারদিকে শান্ত প্রকৃতি। হেমন্তের ঘুম ঘুম সকালে হালকা কুয়াশা নেমেছে। গাছপালা, ঘরবাড়ি সবকিছু মনে হয় শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে। মৃদু হাওয়া বইছে। গাছপালার শুকনা ও হলুদ পাতারা ঝরে পড়ছে। মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরে যাওয়ার পথে এ রকম একটা মুহূর্তে হঠাৎ করেই একটি মাঠের ভেতর চোখ আটকে যায়। সেখানে তখন যেন লাল রঙের ঢেউ বইছে।

প্রকৃতি হয়তো এ রকমই, অমন করেই সারাটা বছর ধরে কোনো না কোনো রূপে তার আপন হৃদয় মানুষের জন্য খুলে রাখে। একবার তার রূপে চোখ পড়লে, চোখ ফেরানো অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে যায়। ফেরার পথে ওখানে থমকে দাঁড়াতে হয়েছে।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাওরপারের জুমাপুর গ্রামের মাঠ তখন হেমন্তের সকালের আলোতে ভেসে যাচ্ছে। মাত্র হাওরের পানি মাঠ থেকে নেমেছে, মাঠ এখনো ফাঁকা। সেই মাঠের ভেতর টুকরো-টাকরা লাল রঙের তরঙ্গ যেন ঢেউ খেলছে। দেখে মনে হয়, ‘তোমার মুখের রূপ কতো শত শতাব্দী আমি দেখি না/ খুঁজি না।’

কাউয়াদীঘি হাওরপারের অন্তেহরিতে যাওয়ার সড়ক থেকে মাঠটির অবস্থান পূর্ব দিকে, কিছুটা দূরে। কেউ একজন মাঠে ঢোকার বড় আলপথটির মুখে প্লাস্টিকের জালে বেড়া দিয়ে রেখেছেন। তা ডিঙিয়ে আলপথ ধরে মাঠের কাছে গিয়ে মনে হয়েছে, টুকরো টুকরো লাল রঙের একেকটি প্রদীপ জ্বলছে সেখানে। মানুষের ঘরবাড়ির পাশে কোনো এক সময় ওখানে লাল শাপলা সংসার সাজিয়েছে। কোথাও একটি করে শাপলা ফুটেছে, কোথাও এক-দুটো করে। কোথাও ঝাড় বেঁধে ফুটেছে ফুল-কন্যারা।

দেখে মনে হয় লাল শাপলার গালিচা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জুমাপুরে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত ভিটামিন এ খেলে কী হয়

পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করা  জরুরি। কেননা এই খাদ্য উপাদান প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং  হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।  

ভিটামিনের অভাব পূরণের জন্য  উন্নত বিশ্বে প্রায় ৮২ শতাংশ বয়স্ক নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সম্পূরক বা বড়ি সেবন করে থাকেন। কিন্তু ভিটামিন বেশি খেলে নানা ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘প্রায় সব ভিটামিনেরই একটি টক্সিক মাত্রা আছে’’। একইভাবে অতিমাত্রায় ভিটামিন এ খেলে ক্ষতি হতে পারে। 

আরো পড়ুন:

অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে কী হয়

শীতে চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে করণীয়

গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক
উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ সেবন গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। এতে টক্সিক মাত্রায় ভিটামিন এ থাকায় অনাগত শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

হাড়ের সমস্যা 
হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া (অস্টিওপোরোসিস), হাড়ের ব্যথা, এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ত্বকের পরিবর্তন 
ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাওয়া, চুল পড়া, এবং ঠোঁট ফাটা।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা অন্যান্য দৃষ্টি সংক্রান্ত জটিলতা।

এ ছাড়া উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ যকৃৎ, হাড় ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ বেশি ভিটামিন এ খেয়ে ফেললে বমি, মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক ভিটামিন এ- প্রস্তাবিত পরিমাণ নিচে দেওয়া হলো 

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ: ৯০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
প্রাপ্তবয়স্ক নারী: ৭০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
গর্ভবতী নারী: ৭৭০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন।
স্তন্যদানকারী নারী: ১,৩০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) RAE প্রতিদিন। 

সূত্র: ম্যাক্স হসপিটাল

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ